ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশের ভারসাম্য ও দেশীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অটুট রেখে পর্যটন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দেশের জীবনমান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়েছেন ।
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশের অফুরন্ত পর্যটন সম্ভাবনাকে দেশি বিদেশি সকল শ্রেণির পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটন উন্নয়নে স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০১৭’উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
আগামীকাল বুধবার ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য‘ উন্নয়নের জন্য টেকসই পর্যটন একটি অন্যরকম হাতিয়ার।’
কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য দূর করতে কমিউনিটি বেসড ট্যুরিজম এর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একইসঙ্গে জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও নিজস্ব সংস্কৃতির ক্ষতি সাধন না করে ‘দায়িত্বশীল পর্যটন’ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
এ ছাড়াও এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটন শিল্পের সমন্বিত ও সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পর্যটন আকর্ষণীয় এলাকাসমূহে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধাদি প্রবর্তন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ২০১০ সালে জাতীয় পর্যটন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে । এতে পরিবেশ, প্রকৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রেখে টেকসই পর্যটন উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন গঠন করেছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই পর্যটন জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজিএস এর অন্যতম অনুষঙ্গ। এর মাধ্যমে
পর্যটনশিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নে পর্যটক, অংশীজন এবং জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উল্লেখ রয়েছে।
তিনি আশা করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখীসমৃদ্ধ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।

B/S/S/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে