জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী, জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবাঙ্গালী ক্যাম্পের ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে ৷

গুরুতর আহত হয়ে ওই ছাত্রী স্থানীয় ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷ মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে মা বাবাও আহত হয়েছেন ৷ এব্যাপারে ছাত্রীর বাবা গতকাল থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন ৷

থানার লিখিত এজাহার সূত্রে জানা যায়,শহরের চামড়াগুদাম অবাঙ্গালী ক্যাম্পের বৈদ্যুতিক বিলের টাকা সবার কাছ থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হয় ৷ সে অনুযায়ী একই ক্যাম্পের একরামের ছেলে খোকনের কাছে সাকিল বৈদ্যুতিক বিল চায় ৷ এতে খোকন সাকিলের উপর ক্ষিপ্ত হয় ৷ এরই সূত্র ধরে গত ২৭ আগষ্ট সকাল ১০টায় সাকিলের মেয়ে একটি স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী (ছদ্দ নাম) সোনালী(১৬) বাথরুম থেকে বেরিয়ে ক্যাম্পের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় খোকন (৩২),আসলামের ছেলে সোহেল(৩৫) সোনালীর বুকে হাত দেয় এবং তরুনী ধর্ষনের হুমকি দেয় ৷ এসময় ওই দুই বখাটে টানা হেচরা করে সোনালীর পড়নের সেলোয়ার কামিজ খুলে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি ঘটায় ৷ দুই বখাটের সাথে যোগ দেয় মদিনা(৪০) ও রশনি(২৫) ৷ এক পর্যায়ে তারা ওই ছাত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মার ডাং করে গলা চিপে ধরে হত্যার চেষ্টা করলে তাঁর মা জানতে পেরে ঘটনা স্থলে আসলে তাকেও মার ডাং করে আহত করে ৷আশে পাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে বাসা পাঠিয়ে দেয় ৷ বাসা গিয়ে ঘটনা ফোনে সাকিলকে জানালে তিনি বাসা ফিরে আসেন ৷ ঘটনা শুনার পর বাসা থেকে সাকিল বের হওয়া মাত্র উল্লেখিত ব্যক্তিরা এক জোট হয়ে মার ডাং শুরু করে ৷ আমার মেয়ে আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আবারও তাকে মার ডাং করে আহত করে ৷ পরে এলাকাবাসী এ গিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায় ৷ যাওয়ার সময় তারা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণও মেরে মেরে লাশ গুম করার হুমকি দেয় ৷ ছাত্রীটি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷

ছাত্রীর বাবা সাকিল বলেন,প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী আমি গরীব মানুষ ফেরি করে কোন রকম সংসার চালাই ৷ অনেক কষ্ট করে মেয়েকে লেখা পড়া করাচ্ছি ৷ কিন্তু বখাটেরা আমার মেয়ের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি করছে ৷ মেয়েকে রক্ষা করতে গিয়ে আমরা আহত হয়েছি ৷ সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৷ কিন্তু বাসা আসলে লজ্জায় ঘর থেকে বের হতে পারবেনা ৷ এমনকি তার স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে ৷ তারা যে কোন সময় বড় ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে ৷ আমার পরিবার তাদের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ৷ আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবী করছি ৷

অভিযুক্তদের সাথে কথা বলার জন্য বাসা গেলে তাদের না পেয়ে এব্যাপারে কথা হয় অভিযুক্ত মদিনা ও রশনির সাথে তারা মারামারির কথা স্বীকার করলেও শ্লীলতাহানির কথা ও বিবস্ত্রের কথা অস্বীকার করেন ৷

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে