জয়নাল আবেদীনহিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের
টিকিট কালোবাজারে বিক্রি ও জমি উদ্ধারে অনিয়মের অভিযোগে সচেতন নাগরিক সমাজ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

২০ নভেম্বর শহরের ওয়াপদা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে ঘন্টাব্যপি ওই মানববন্ধন পালিত হয়।
এ সময় বক্তব্য বলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম মাস্টার,সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান টেলিভিশন সৈয়দপুর উপজেলা প্রতিনিধি ওবায়দুল ইসলাম,ভোরের কাগজ সৈয়দপুর প্রতিনিধি জিকরুল হক, সাংবাদিক মোতালেব হোসেন হক,নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি মজিবর রহমানসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন,সৈয়দপুরে রেলওয়ের প্রায় ৯০ ভাগ জমি। এ জমিগুলো দীর্ঘদিন থেকে বেহাত অবস্থায় রয়েছে। কর্তৃপক্ষ অনেক বার উদ্যোগ নেয়ার পরও তা উদ্ধার করতে পারেনি।

রেলওয়ের জমিগুলো কেউ দখল করে আছে ভুয়া নিজ নিয়ে। কেউ আছে জাল কাগজপত্র তৈরি করে। আবার কেউ সরাসরি দখল করে। এদের মধ্যে অসহায় গরীবরা আছে ঝুপড়ী ঘর তৈরি করে।

আর এই অসহায় ভুমিহীনদের প্রতি চলে যত নির্যাতন,উচ্ছেদ। অথচ যারা বিশাল বিশাল ভবন নির্মাণ করে বিক্রি করছে, গোডাউন ঘর করে রাতারাতি লাখ লাখ টাকা হাতবদল করছে,এক বছরের লিজ নিয়ে ৯৯ বছর করেছে তাদের ওই সকল জমি বা ভবন উদ্ধারে কর্তৃপক্ষ নিরবতা পালন করছে। রেলওয়ে ভুসম্পত্তি বিভাগের চিফ এস্টেট অফিসার ওই সকল জমি উদ্ধারে কেন যেন নিরব ভুমিকায়। ফলে কতিপয় ভুমিদস্যু ব্যক্তি রেলওয়ের সরকারী সম্পত্তি দখল ও বিক্রি করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক সেজেছে। অথচ রেলওয়ে কারখানা পরিনত হয়েছে ভাগাড়ে। লোকবল সংকটে দেশের সর্ববৃহত্তর রেল কারখানাটি আজ বিলীনের পথে।

কারখানার লোহালক্কর চুরি,তামা পিতল চুরি,রং চুরি,বৈদ্যুতিক তার চুরি বন্ধ হয়নি। তাই ওই সকল অনিয়ম ও চুরি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সাথে ওই সকল অনিয়মের ফিরিস্তি সংবাদপত্রে তুলে ধরতে গিয়ে মোতালেব নামে এক সাংবাদিককে লাঞ্জিত করা হয়েছে।

সৈয়দপুরে অনেকটা রেলওয়ের জায়গা চলে গেছে ভুমিদস্যুদের হাতে। তারা ওই সকল সরকারী জমি দখলে নিয়ে গড়ে তুলেছেন বড় বড় অট্টালিকা। হয়ে যাচ্ছেন লাখপতি থেকে কোটিপতি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে