জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা, অগণিত নেতাকর্মীকে আহত ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে রবিবার সৈয়দপুরে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা ঢিলেঢালা হরতাল পালিত হয়েছে।

এদিকে বিএনপির ডাকা হরতালকে অবৈধ দাবি করে সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সৈয়দপুরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন আমরা আপনাদের পাশে আছি। নির্ভয়ে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করুন। কোন অপশক্তি আপনাদের ক্ষতি করতে পারবে না। এদিকে বিএনপির ডাকা হরতাল হরতাল চলাকালে শহরের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। উৎপাদন হয়েছে সকল শিল্প কারখানায়। স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। অফিস আদালতে কাজ কর্ম হয়েছে যথারীতি। সকালের দিকে সড়কে বিভিন্ন রুটের বাস মিনিবাসসহ ভারী যানবাহন দেখা না গেলেও দুপুরের পর থেকে সীমিত আকারে যানবাহন চলতে দেখা যায়।

হরতালে শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন ছিল। পাশাপাশি আনসার সদস্যদেরও দেখা গেছে দায়িত্ব পালন করতে। শহরের শহীদ ডা.জিকরুল হক সড়কের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। পাশাপাশি সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্লোল কুমার দত্তের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল শহরে টহল দিতে দেখা গেছে। হরতাল চলাকালে দুপুরের দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির
সহ দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমীন মির্জাকে আটক করেছে। থানা পুলিশের পরিদর্শক মফিজুল হকের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এরআগে শনিবার রাতে সৈয়দপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে শহরে ঝটিকা মিছিল বের করে। পুলিশ এলে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় থানা পুলিশ। এদিকে বিএনপির ডাকা হরতালের বিরোধিতা করে সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রবিবার সকালে শহরে হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় নেতাকর্মীরা হরতাল বিরোধী শ্লোগান দেয়। পরে নেতৃবৃন্দ শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সভা করেন। এতে বক্তব্য বলেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন,আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ্য নেতা সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাখাওয়াত হোসেন খোকন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ। বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি জামাতের নৈরাজ্য আর সহ্য করা হবেনা। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা বলেন, একজন পুলিশকে তারা কিভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তা আজ দেশবাসী দেখেছে।

সাংবাদিকরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন আর কোন ছাড় নয়, এখন থেকে রাজপথে বিএনপি জামাতকে মোকাবেলা করা হবে।

তারা দলের সকল নেতাকর্মীদের সতর্ক থেকে বিএনপি জামাতের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে রাজপথে থাকার আহবান জানান ৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে