জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ এবারে গত মৌসুমের চেয়েও বেশি সরিষা আবাদ হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। অন্য ফসলের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা সরিষা আবাদে ঝুঁকছেন বলে জানা যায়।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমে সৈয়দপুর উপজেলায় সরিষা আবাদ হয়েছিল ৩ শ’ হেক্টর জমিতে। কিন্তু এবারে সরিষা আবাদ হয়েছে সাড়ে ৪ শ’ হেক্টর জমিতে।

উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকার মাঠ সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে। দুর থেকে দেখলে মনে হবে যেন হলুদ চাদর বা গালিচা। সকাল ও বিকালে সরিষা মাঠ দেখতে ও ছবি তুলতে ছুটছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ।

উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কৃষক আশরাফুল জানান, অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভজনক হওয়ায় প্রায় ৬ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। গত মৌসুমের চেয়ে এবারে সরিষা গাছ যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি ফুলও হয়েছে অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর বিঘা প্রতি ১২-১৪ মন সরিষা পেলেও এবারে বিঘা প্রতি ১৫-১৬ মনেরও বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

উপজেলার বাংগালীপুর ইউনিয়নের কৃষক আনছার ও ফজলু জানান, বাজারে তেলের দাম লাগাম ছাড়া। বাজার থেকে যাতে তেল কিনতে না হয় এজন্যই সরিষার আবাদ করেছি। নিজের চাহিদা মত ঘানি থেকে সরিষার তেল বের করার পর বাকি সরিষা বিক্রি করে দিবো। কারন বাজারে সরিষা তেলের দাম ভালো পাওয়া যাবে।

তারা বলেন, বর্তমান মৌসুমে প্রায় ৮ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। ফলনও খানিকটা ভালো হয়েছে। আশাকরি শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত ফসলও পাবো।

উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা সাহিনা খাতুন বলেন, কৃষকদের যদি আগাম পরামর্শ দেয়া যেতো, তাহলে কৃষকরা বর্তমান মৌসুমে সরিষা আবাদে বিপ্লব ঘটাতো। কিন্তু তেমনটা হয়নি বলেই লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে উপজেলার বর্তমান কৃষি কর্মকর্তা ধিমান ভুষন জানান, কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেই এবারে গত মৌসুমের চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকরা পর্যাপ্ত ফলন ঘরে তুলতে পারবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে