অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক কোনো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অভিনন্দন বার্তায় টাইগারদের জয়ের ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১০ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে ৫ ম্যাচ সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করে স্বাগতিকরা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের যাওয়া আসার মিছিলে একপাশ আগলে রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে শেষ দিকে ক্যারিয়ারের ৫ম হাফ সেঞ্চুরি করে সাজঘরে ফেরেন সাইলেন্ট কিলার। অন্যদিকে, সাকিব আশা জাগিয়েও সাজঘরে ফেরায় বাকিরা আর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিতে পারেননি।

এদিন, শুরুতেই হতাশ করেন ওপেনাররা। মাত্র ১ রান করেই হ্যাজলউডের শিকার হন মোহাম্মদ নাইম। এরপরেই ২ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। তাকে ফেরান অ্যাডাম জাম্পা।

এতে দ্রুতই ক্রিজে আসতে হয়েছে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে। ঠান্ডা মাথায় খেলছিলেন তারা। জাম্পাকে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন সাকিব। দৌড়ে গিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন অ্যাগার। ১৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

এরপর ক্রিজে এসে আশা জাগিয়েছিলেন আফিফ। কিন্তু মিড-অফে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ড্রাইভ দিয়ে ধরে ওঠার আগেই ছুঁড়ে মেরেছেন অ্যালেক্স ক্যারি, যে থ্রো-তে সরাসরি ভেঙেছে স্টাম্প। ১২তম ওভারের শেষ বলে ৪র্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৩ বলে ১৯ রান তুলেছেন আফিফ।

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শামীম হোসেনও। হ্যাজলউডের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে টাইমিং করতে পারলেন না শামীম। মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি, ৮ বলে ৩ রান করে। মিডউইকেটে পেছন দিকে ছুটে বেশ ভালো ক্যাচ নেন বেন ম্যাকডারমট।

এরপর রানআউট হয়ে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান। ৫ বলে ১১ রান করেন তিনি। ৫৩ বলে ৫২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। মোস্তাফিজ ফেরেন শূন্য রানে। মেহেদী হাসান ৬ রানে ও শরিফুল শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেক ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছেন নাথান এলিস। তার শিকার হন- টাইগারদের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী এবং মোস্তাফিজ। এছাড়া, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

বাংলাদেশের দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ককে হারায় সফরকারীরা। নাসুম আহমেদের লেগসাইডের বলটা টেনে মারতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে শরিফুলের হাতে ধরা পড়েন ওয়েড। অজি অধিনায়ক ৫ বলে মাত্র এক রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন।

এরপর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ান মার্শ ও বেন ম্যাকডারমট। অজিদের হয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করছিলেন তারা। এর মধ্যেই ম্যাকডারমটকে বোল্ড করে ফেরান সাকিব। ৪১ বলে ৩৫ রান করেছেন এই ওপেনার।

পরের ওভারের প্রথম বলেই আঘাত হানেন শরিফুল। মিডঅনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন ময়েস হেনরিক্সকে। ৩ বলে ২ রান করেন তিনি। এরপর শরিফুলর দ্বিতীয় শিকার হন হাফ সেঞ্চুরি করা মার্শ। নাইমের হাতে ধরা পড়ার আগে ৪৭ বলে ৫১ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে অজিদের জয়ের জন্য ২২ রান প্রয়োজন ছিল। বল হাতে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ভরসা রাখেন তরুণ মেহেদীর ওপর। তার করা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান ক্যারি। পরের বলে কোনো রান নিতে পারেননি তিনি। তৃতীয় বলে এক রান হলেও চতুর্থ বলে ফ্রি হিট পায় অজিরা। তবে সেটি কাজে লাগাতে পারেননি ক্যারি। মাত্র এক রান নিতে পারেন তিনি। শেষের দুই বলেও এক রান করে দেন মেহেদী।

SO/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে