সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ঘাতক ছাবেন আলী (৩২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পৌর এলাকার কোহিত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষনের পর হত্যার ঘটনায় বুধবার রাতে একই গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ছামেন আলীকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত কিশোরী সুমাইয়া (১৪) উপজেলার পৌর সদরের কোহিত গ্রামের বেল্লাল হোসেনের মেয়ে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে গ্রেফতারকৃত ছাবেন আলীকে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কোহিত দিঘীরপারা গ্রামের বেল্লাল হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন তার দাদীর সাথে বাড়িতেই থাকতেন। তার বাবা কাজের জন্য বাড়ির বাহিরে ছিলেন ও তার দাদী ছাগল চরাতে মাঠের মধ্যে ছিলেন। এ সময় সুমাইয়া বাড়িতে একা থাকার সুযোগ বুঝে ধর্ষক ছাবেন আলী ঘরে ঢুকে তাকে জোর পুর্বক ধর্ষন করে। এ ঘটনা কাউকে বলে দিবে বলে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এদিকে দুপুরের দিকে কিশোরীর দাদি বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে ঢুকে কিশোরী সুমাইয়া খাতুনের মরদেহ দেখতে পায়।

পরে তাড়াশ থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি পাঠায়।

তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, কিশোরীর গায়ে, মুখে ও শরিরে আঘাতের চিহৃ ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। প্রাথমিক সুরতহালে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি সন্দেহ করছি। পরে বিভিন্ন তথ্যের সুত্র ধরে একই গ্রামের ছাবেন আলীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ছাবেন আলী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে