5

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৫ই মে১৬) মারুফ সরকার (বিভাগীয় প্রতিনিধি, রাজশাহী): সিরাজগঞ্জের দুর্গম চরাঞ্চলে স্থাপিত চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেড় বছর ধরে জরুরি চিকিৎসাসেবা ও রোগী ভর্তি (আন্তর্বিভাগ) বন্ধ থাকার পর অতি সম্প্রতি জরুরী বিভাগ চালু হয়েছে।

কিন্তু হাসপাতালের সদ্য নির্মিত ভবনের টিনের চাল দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে যন্ত্রপাতিসহ আসবাব নষ্ট হচ্ছে। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে এ অবকাঠামো নির্মিত হলেও খুব দ্রুতই তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হওয়ায় এলাকাবাসী কাঙ্খিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সরে জমিন দেখা যায়,  প্রবেশপথসহ প্রতিটি কক্ষের মেঝেতে পানি জমে আছে। সামান্য বৃষ্টিতেই চালা দিয়ে পানি পড়ছে পুরো মেঝে ভেসে গেছে। কমপ্লেক্সের ১৫টি কক্ষের মধ্যে তিনটি কক্ষ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের দখলে থাকায় মালামাল রাখাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

উপজেলার খাসকাউলিয়া গ্রামের নিজাম উদ্দীন বলেন, ‘উপজেলাটি দুর্গম চরাঞ্চলে পড়েছে। যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এ হাসপাতালে কিছু দিন পুর্বে  জরুরী বিভাগ চালু হলেও ডাক্তারদের অনুপস্থিতি এবং অন্তর্বিভাগ চালু না থাকায় আমাদের রোগীগুলোকে ভীষণ কষ্ট করে পাশের টাঙ্গাইল জেলা সদর ও নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে হচ্ছে। এ কারণে অনেক রোগী চিকিৎসার অভাবে পথেই মারা যাচ্ছে। এখানে দীর্ঘ দেড় বছর পর জরুরি বিভাগ চালু করা হলেও সামান্য বৃষ্টি হলেই রোগীদের ভিজে গিয়ে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’

চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাকা ভবনগুলো নদীভাঙনে বিলীন হয়। এর আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও আসবাব পাশের খাষকাউলিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় সরানো হয়। তখন থেকেই আন্তর্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ বন্ধ রয়েছে। পরে জরুরি ভিত্তিতে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ কক্ষবিশিষ্ট একটি অস্থায়ী সেমিপাকা (টিনশেড) ভবন নির্মাণ করে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু করা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজের ত্রুটি থাকায় চাল দিয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই অনবরত পানি পড়ছে এখন যন্ত্রপাতি, বিছানাপত্র সবই নষ্ট হচ্ছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেন, নির্মাণকাজ অসমাপ্ত থাকা অবস্থাতেই এটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের আগে থেকেই চাল দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে। কক্ষগুলোর মেঝের প্লাস্টার উঠে যায়। ইতিমধ্যে পানি পড়ছে অস্ত্রোপচারকক্ষের মূল্যবান যন্ত্রপাতি, আসবাবসহ অন্যান্য মালামাল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

চৌহালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক সরকার বলেন, ‘এই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকসহ জনবল থাকলেও আন্তর্বিভাগ চালু নেই।  আমরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকদের থাকাসহ সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে রাজি আছি।’ তিনি দ্রুত আন্তর্বিভাগ বিভাগ চালু ও জরুরী বিভাগে ডাক্তারদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাকসুদা খানম বলেন, চাল দিয়ে পানি পড়াসহ পানি সরবরাহের লাইনগুলো মেরামত করতে একাধিকবার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলীকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত তা মেরামত করা হয়নি। যে কারণে মালামাল নষ্ট হতে চলেছে। এ অবস্থায় সেবা কার্যক্রম চালু রাখা কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। রোগীদের সাথে চিকিৎসকদের নানা বিরম্ভনায় পড়তে হচ্ছে। ।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, চাল দিয়ে পানি পড়াসহ পানির লাইনের কিছু বাকি থাকা কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিল বাকি থাকায় ঠিকাদার কাজটি করতে গড়িমসি করছেন। তবে যত দ্রুত সম্ভব এ কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা হাসপাতালে বৃষ্টি হলেই পানির স্রোত
বিডি নীয়ালা নিউজ(১৫ই মে১৬) মারুফ সরকার (বিভাগীয় প্রতিনিধি, রাজশাহী): সিরাজগঞ্জের দুর্গম চরাঞ্চলে স্থাপিত চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেড় বছর ধরে জরুরি চিকিৎসাসেবা ও রোগী ভর্তি (আন্তর্বিভাগ) বন্ধ থাকার পর অতি সম্প্রতি জরুরী বিভাগ চালু হয়েছে।

কিন্তু হাসপাতালের সদ্য নির্মিত ভবনের টিনের চাল দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে যন্ত্রপাতিসহ আসবাব নষ্ট হচ্ছে। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে এ অবকাঠামো নির্মিত হলেও খুব দ্রুতই তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হওয়ায় এলাকাবাসী কাঙ্খিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সরে জমিন দেখা যায়,  প্রবেশপথসহ প্রতিটি কক্ষের মেঝেতে পানি জমে আছে। সামান্য বৃষ্টিতেই চালা দিয়ে পানি পড়ছে পুরো মেঝে ভেসে গেছে। কমপ্লেক্সের ১৫টি কক্ষের মধ্যে তিনটি কক্ষ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের দখলে থাকায় মালামাল রাখাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

উপজেলার খাসকাউলিয়া গ্রামের নিজাম উদ্দীন বলেন, ‘উপজেলাটি দুর্গম চরাঞ্চলে পড়েছে। যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এ হাসপাতালে কিছু দিন পুর্বে  জরুরী বিভাগ চালু হলেও ডাক্তারদের অনুপস্থিতি এবং অন্তর্বিভাগ চালু না থাকায় আমাদের রোগীগুলোকে ভীষণ কষ্ট করে পাশের টাঙ্গাইল জেলা সদর ও নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে হচ্ছে। এ কারণে অনেক রোগী চিকিৎসার অভাবে পথেই মারা যাচ্ছে। এখানে দীর্ঘ দেড় বছর পর জরুরি বিভাগ চালু করা হলেও সামান্য বৃষ্টি হলেই রোগীদের ভিজে গিয়ে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’

চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাকা ভবনগুলো নদীভাঙনে বিলীন হয়। এর আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও আসবাব পাশের খাষকাউলিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় সরানো হয়। তখন থেকেই আন্তর্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ বন্ধ রয়েছে। পরে জরুরি ভিত্তিতে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ কক্ষবিশিষ্ট একটি অস্থায়ী সেমিপাকা (টিনশেড) ভবন নির্মাণ করে হাসপাতালের কার্যক্রম চালু করা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজের ত্রুটি থাকায় চাল দিয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই অনবরত পানি পড়ছে এখন যন্ত্রপাতি, বিছানাপত্র সবই নষ্ট হচ্ছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেন, নির্মাণকাজ অসমাপ্ত থাকা অবস্থাতেই এটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের আগে থেকেই চাল দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে। কক্ষগুলোর মেঝের প্লাস্টার উঠে যায়। ইতিমধ্যে পানি পড়ছে অস্ত্রোপচারকক্ষের মূল্যবান যন্ত্রপাতি, আসবাবসহ অন্যান্য মালামাল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

চৌহালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক সরকার বলেন, ‘এই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসকসহ জনবল থাকলেও আন্তর্বিভাগ চালু নেই।  আমরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকদের থাকাসহ সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে রাজি আছি।’ তিনি দ্রুত আন্তর্বিভাগ বিভাগ চালু ও জরুরী বিভাগে ডাক্তারদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাকসুদা খানম বলেন, চাল দিয়ে পানি পড়াসহ পানি সরবরাহের লাইনগুলো মেরামত করতে একাধিকবার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলীকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত তা মেরামত করা হয়নি। যে কারণে মালামাল নষ্ট হতে চলেছে। এ অবস্থায় সেবা কার্যক্রম চালু রাখা কষ্ট কর হয়ে পড়েছে। রোগীদের সাথে চিকিৎসকদের নানা বিরম্ভনায় পড়তে হচ্ছে। ।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, চাল দিয়ে পানি পড়াসহ পানির লাইনের কিছু বাকি থাকা কাজ সম্পন্ন করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিল বাকি থাকায় ঠিকাদার কাজটি করতে গড়িমসি করছেন। তবে যত দ্রুত সম্ভব এ কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে