সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকার: জেলার তাড়াশ উপজেলা সদরে কয়েকশো বছরের পুরানো ঐতিয্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু ধর্মীয় দেবোত্তর প্রতিষ্ঠানটি সংস্কার ও উন্নয়নের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। পুরো মন্দিরের রং উঠে দখল নিয়েছে শাওলা। ভবনের মাঝে মাঝে ইট, সুরকি খসে পড়ে বিনষ্ট হচ্ছে এর সৌন্দর্য্য ও জৌলুস। যেন বয়সের ভারে একেবারে ন্যূয়ে পড়তে শুরু করেছে। বেদখল হয়ে গেছে মন্দিরের বেশকিছু মূল্যবান জায়গা। তৎকালীন জমিদার রাজা রায়বাহাদুরের সময় ১১০৫ বঙ্গাব্দে দুই একর ছয় শতক জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হয় গোবিন্দ মন্দির।

এটি বর্ণিল কারুকার্যে গড়া মূল্যবান একটি প্রত্নতত্ব  সম্পদ। এখানে পূজা-অর্চণা করে থাকেন বৃহত্তর চলনবলি অঞ্চলের সনাতন ধর্মালম্বীরা। সনাতন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে জাতী ধর্ম নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় মন্দির প্রাঙ্গন। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চলনবিল প্রেমী পর্যটকমনা মানুষরা মন্দিরটি একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন এখানে। তাড়াশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রশান্ত ঘোষ ও সনাতন সংস্থার সভাপতি তপন কুমার গোস্বামী জানান, স্থানীয়ভাবে অনেক আবদেন-নিবদেন করেও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না মন্দিরটির। তাছাড়া এর মূল্যবান বেশবিছু জায়গা বেদখল হয়ে গেলেও এসবের উদ্ধারে নেই কোন ধরনের উদ্যোগ।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ মনসূর উদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে প্রত্নতত্ব বিভাগের বগুড়া অঞ্চলের প্রধান কর্মকর্তা নাহিদ সুলতানা বলেন, তাড়াশের ঐতিহ্যবাহী গবিন্দ মন্দিরটি সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে তবেই সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে