সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকার: সিরাজগঞ্জ শহরের আশেপাশে কয়েকটি স্কুলে রিক্সাচালকদের অত্যাচার অতিষ্ট সিরাজগঞ্জবাসী। বিশেষ করে স্কুল শুরুর সময় ও ছুটির সময় স্কুলের সামনে রিক্সা দিয়ে ভর্তি হয়ে যায়। রাস্তা বন্ধ করে তারা রিক্সা রেখে দেয়। তাদের জন্য কোন পৌর ট্রাফিক না থাকায় সাধারন মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। রিক্সাওয়ালা একজন আরেকজনের সাথে মারামারি করে। বৃহস্পতিবার সকালে সৃষ্ঠি সেন্টাল স্কুলের সামনে এক রিক্সাওয়ালা আরেক রিক্সাওয়ালা লিটনকে মারধর করে। এসময় দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক তারা মিয়া তা সমাধান করে। বিশেষ করেশহীদ ক্যাডেট একাডেমী,শহিদ মডেল স্কুল, সৃষ্ঠি সেন্টাল স্কুলে এ ভীড় বেশী দেখা যায়।এ ব্যাপারে স্বপ্ন খাতুন নামের এক অভিভাবক আক্ষেপ করে বলেন,আমরা ছেলে মেয়েদের নিয়ে হেটে এ রাস্তা দিয়ে যেতে পারি না।

রিক্সাওয়ালারা এত বেশী পরিমান থাকে যে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে লাঞ্চিত স্বীকার হতে হয়। এ রিক্সাওলাদের সমাধান করতে হলে সৃষ্ঠি সেন্টাল স্কুল,শহীদ ক্যাডেট একাডেমী ও শহীদ মডেল স্কুলের জন্য একজন পৌর ট্রাফিক প্রয়োজন। না হলে ভবিৎষতে বড় ধরনের যে কোন ধর্ঘটনা ঘটে যাবে। এ ব্যাপারে রাশেধ নামের এক অভিভাবক জানান,আমরা এ রিক্সাওয়ালাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। এ রিক্সাওলাদের সমাধান করতে সৃষ্ঠি সেন্টাল স্কুলের সামনে একজন পৌর ট্রাফিক দাবী করেন। এ ব্যাপারে রেজিষ্টি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক তারা মিয়া জানান,বিশেষ করে ৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একসাথে হওয়ার কারনে এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।যদি সৃষ্ঠি স্কুলের সামনে একজন পৌর ঠ্রাফিকের ব্যাবস্থা করে দিতে পারে পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা সিরাজী তাহলে এ ৩ টি স্কুলের সামনে আর কোন সমস্যা হবে না এছাড়া সৃষ্ঠি স্কুলের মাঝে যেটুকু ফাকা আছে তা বন্ধ করে দেয়ার ও দাবী করেন। এ ব্যাপারে ৩ নং ওর্য়াড কমিশনার আমিনুল ইসলাম জানান,আগে এ সমস্যাটির কথা ককনো শুনিনি।এখন শুনলাম যে ওই ৩ টি স্কুলের জন্য একজন পেওর ট্রাফিক দরকার। আমি এই বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার মেয়র মহোদয়ের সাথে কথা বলব। এ ৩ টি প্রতিষ্ঠানের জন্য যঙদি একটি পৌর ট্রাফিক দেয়া যায় তাহলে এ এলাকা দিয়ে আগত মানুষ কষ্টের হাত থেকে অনেকাংশে লাঘব পাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে