করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে তার সরকার। বুধবার (১৩ এপ্রিল) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনার কারণে বিগত দুই বছর জনসমাগম করে উন্মুক্ত স্থানে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা করা যায়নি। বর্তমানে ভাইরাসের প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। তাই এবার সীমিত আকারে হলেও বাইরে অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে। তবে একেবারেই নির্মূল হয়নি করোনাভাইরাস। নতুন রূপে ভাইরাস আবার যে কোনো সময়, যে কোনো দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই আমি সবাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব (বৈশাখের) অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা অবশ্য যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি। এরই মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। অব্যাহত রয়েছে টিকা প্রদান। দ্বিতীয় ডোজের পর এখন বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।

করোনা সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মহামারিজনিত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমার সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা ২৮টি প্যাকেজের মাধ্যমে এক লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছি। এতে প্রায় ছয় কোটি ৭৪ লাখ মানুষ উপকার পেয়েছে। আর উপকৃত হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান প্রায় এক লাখ ১৮ হাজারটি।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে