মেট্রোরেল এখন আর কোনো স্বপ্ন নয় বরং দৃশ্যমান বাস্তব। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অংশে নির্মিতব্য মেট্রোরেলগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে শক্তিশালী ম্যাস ট্রানজিট নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।আর ২০২২ সালের জুন থেকেই শুরু হবে মেট্রোরেল লাইন-৬ এর পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
রোববার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেল প্রকল্প এলাকায় ভায়াডেক্টের উপর দিয়ে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে সবুজ পতাকা নেড়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এর আগে আলোচনা পর্বে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব ও দৃশ্যমান। আমার আজও মনে পড়ে প্রচণ্ড ঝড়ের ওপর বৃষ্টির মধ্যে পড়েছিলাম প্রথমবার এখানে এসে। অনেক দুর্গম পথ অতিক্রম করে এই পর্যন্ত এসেছিলাম। আজকের দিনটি আমার জন্য আনন্দের। করোনা ভাইরাস পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের কাজকেও প্রভাবিত করে। আমি জাপান সরকার ও জাইকার কাছে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যে, এর মধ্যেও তারা কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আজকে খুবই ভালো লাগছে। শেখ হাসিনার অবদান, মেট্রোরেল দৃশ্যমান।
এসময় মেট্রোরেল কাজের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন কাদের বলেন, যানজট নিরসন, পরিবেশ উন্নয়ন, দূষণ রোধসহ নানান কারণে মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ৮২৮ দশমিক ৭৪১ কিলোমিটার (কিমি) দীর্ঘ মেট্রোরেলের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে ঢাকাজুড়ে। ২০৩০ সালের এর পুরো কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ৩১ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত ৬৮ দশমিক ২৯ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত কাজের ৮৮ দশমিক ১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এখানে ১১ দশমিক ৭৩ কিমি রেল লাইন বসানো হয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের ৬৬ দশমিক ৭২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল অংশের ৬০ দশমিক ৬৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কাদের আরও জানান, গেল ২৮ ফেব্রুয়ারিতে সম্পূর্ণ ভায়াডাক্ট স্থাপনের কাজ শেষ হয়। এগুলোর ওপর ২০ দশমিক ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১৭ দশমিক শুন্য দুই শতাংশ কিলোমিটার রেল লাইন বসানো হয়েছে। ১৬টি স্টেশনের মধ্যে ৯টি স্টেশন, পাঁচটি কন্ট্রোল সেটেশন এবং পাঁচটি প্লাটফর্মের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাণিজ্যিক চলাচলের আগে ছয় মাস পরীক্ষামূলক চলাচল করা হবে অর্থাৎ ২০২২ সালের জুন মাস থেকে বাণিজ্যিক চলাচলের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চীফ ইয়োকি ইয়ামায়া, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দীকসহ মেট্রোরেল সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং জাইকাসহ বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ban/N