আবারও ‘জোটবদ্ধ’ হয়ে আন্দোলনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে এর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সদ্য প্রয়াত সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের স্মরণে রোববার (২৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘শত নাগরিক’ জাতীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্মরণ সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শত নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব কবি আবদুল হাই শিকদার।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে একটা দানবীয় শক্তি আমাদের সব কিছু তছনছ করে দিচ্ছে। তারা সত্যিকার অর্থেই একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র তৈরি করেছে। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।   

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বংশধরদের সত্যিকার অর্থেই একটা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ দিতে চাইলে আমাদের সবাইকে জোটবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এখন রাস্তায় নামা ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। এটা শুধু বিএনপি বা শুধুমাত্র বিরোধী দলকে নয়, সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ যারা এখানে আছেন সুধীজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সংবাদসেবী- প্রত্যেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ বাদ পড়ছেন না। সুতরাং সবাইকে নেমে আসতে হবে।

গত ২০ আগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাবির সাবেক উপাচার্য ও অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান।  

 রোববার (২৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, একজন সহকর্মীর মুক্তির জন্য ছাত্রদলের ছেলেরা সেখানে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহায়তায় তাদের ওপর হামলা, অত্যাচার-নির্যাতন করেছে।

সদ্য প্রয়াত শিক্ষাবিদ খন্দকার মুস্তাফিজুর রহমানের বর্ণাঢ্য শিক্ষা ও কর্মজীবন তুলে ধরে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তাকে হারিয়ে শুধু পরিবার নয়, আমরা যারা বন্ধু-সহকর্মী-শুভ্যানুধায়ী শুধু তারা নয়, গোটা জাতির জন্য যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়।  

অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহছানুল হক মিলন, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, মো. বাকের হোসাইন, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজে (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, স্বাধীনতা ফোরাম সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও প্রয়াত খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের ছেলে খন্দকার আশফাকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে