পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারকে এখনও যুক্তরাষ্ট্র যে জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে, সেটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সোমবার (৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠক হয়। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আমরা বলেছি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আপনাদের পজিশন খুব ভালো। তবে আসিয়ান, কোয়াড ফোরামের সঙ্গে এই ইস্যুতে আরও আলোচনা হতে পারে। আমি চাই, ২০১৬ সালে মিয়ানমারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, সেটা আরোপ করুন। আপনি মিয়ানমারকে এখনও জিএসপি সুবিধা দিচ্ছেন, সেটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

তিনি আরও বলেন, বৈঠকে ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, ভাসানচরের যোগাযোগ ব্যবস্থা কেমন। আমি বলেছি, সাধারণত তিন ঘণ্টা সময় লাগে যেতে। তবে মূল ভূখণ্ড থেকে আধাঘণ্টা লাগে। আমরা ভাসানচরে ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করেছি বলে জানিয়েছি।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন।  

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে