মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ পিতা/মাতা সন্তানদের সুশিক্ষিত করার জন্য পড়াশোনা করাতে হয়। আর পড়াশোনা করাতে দিতে হয় স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা ও কওমী মাদ্রাসায়। আর শিক্ষিত করতে শিক্ষক/শিক্ষিকার কাছে দিতেই হবে। আর সেই শিক্ষক/শিক্ষিকাই যদি হয় ঘাতক। তাহলে কোথায় গিয়ে সন্তানদের পড়াবো এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে রাহাতের পিতা/মাতা। এরই মাঝে গত মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর ২০২২) তারিখ ময়মনসিংহে নাযেরা বিভাগের ৮ বছরের ছাত্র রাহাতকে মেরে আহত করেছে উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বীন ইসলাম।

অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কাঠগোলা বাজারের পশ্চিম পাশে বালুর ঘাটে অবস্থিত রাহমানিয়া নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার নাযেরা বিভাগের ৮ বছরের শিশু ছাত্র রাহাতকে বুকের মাঝে লাথি মেরে মাদ্রাসার দেয়ালে ফেলে দেয় শিক্ষক মোঃ দ্বীন ইসলাম।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৫নং সিরতা ইউনিয়নের চর ভবানী পুর গ্রামের মোঃ আল আমিনের পুত্র রাহাত। রাহাতের মায়ের নাম মোছাঃ মর্জিনা আক্তার। রাহাতের বাবা বাজারে বাজারে হালিম বিক্রি করে। আবার মাঝে মধ্যে মিশুক অটোরিকশা দিয়ে ভাড়া চালায়।

আহত রাহাত (০৮) মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাঁর মাথা ফেটে যায়। ঐ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ রাহাতকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করে। দীর্ঘ ৩/৪ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরে আসে রাহাতের। এদিকে রাহাতের বাড়িতে অভিভাবকদের কোন খবরাখবর জানানো হয়নি।

গতকাল (০২ নভেম্বর ২০২২) তারিখ বরাবরের মতো মাসিক ছুটির জন্য সোনার টকরো ছেলেকে আনতে যায় রাহাতের পিতা মোঃ আল আমিন। মাদরাসায় পৌঁছে রাহাতের পিতা তাঁর ছেলেকে দেখে অবাক হয়ে বলে বাবা তোমার কি হয়েছে। পুরো ঘটনা শোনার পর তার পিতা কিছু বলার আগেই মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাকে বলে কারো সাথে না বলে। চুপচাপ বাড়ি যান। পরে আপনার ছেলে সুস্থ হলে মাদরাসায় নিয়ে আসবেন। এ কথা শুনে রাহাতের পিতা দ্রুত বাড়িতে আসে।

রাহাতের পুরো পরিবার ঘটনাটি জানতে পায়। হতদরিদ্র পরিবার কি করবে, কোথায় যাবে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যখন জানতে পায় মামলা করবে। পরে গতকাল রাতে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মিমাংসা করার জন্য রাহাতের বাড়ি আশে। রাহাতের পরিবার জানতে চাই কি কারণে আমার ছেলেকে এভাবে মারলো। এর বিচার চাই। কিসের মিমাংসা আগে বিচার করেন। যে শিক্ষকে মারছে তাকে আসতে বলেন। এদিকে এঘটনার পর থেকেই উক্ত শিক্ষক মোঃ দ্বীন ইসলাম পলাতক।

পরে আজ বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর ২০২২) তারিখ সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় আহত রাহাতের দাদী মোছাঃ রহিমা খাতুন বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে