কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্্েরর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিনিয়তই নিম্নমুখী হচ্ছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সেবার মান। রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা থেকে। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, টাকা ছাড়া কোন সেবাই হয় না এখানে। ঔষুধ পাওয়া তো রীতিমতো সৌভাগ্যের ব্যাপার। কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার মধ্য দিয়ে চলছে বড়ভিটা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কার্যক্রম।

নিয়োজিত ব্যক্তিদের যোগসাজসে ঔষধ এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সিংহভাগ কালো বাজারে বিক্রি করে দেয়া হয়। জনসংখ্যা রোধে নাম মাত্র মূল্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী দপ্তরদের মধ্যে বিতরণ করার কথা থাকলেও এখানে তা করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে বড় করে লেখা আছে এখানে ২৪ ঘন্টা নিরাপদ প্রসব সেবা (ডেলিভারী) করানো হয়। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা ভিন্ন। টাকা ছাড়া মিলে না কোন প্রসূতি সেবাই । টাকা দিতে অস্বীকার করলে হতে হয় বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার। এছাড়াও কপাটির ভূয়া তালিকা তৈরি করে টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়।

সরকারীভাবে যে পরিমান ঔষধ আসে তার ১০ ভাগ ঔষধও গরিব-দুঃখী মানুষের ভাগ্যে জোটে না বলে অভিযোগ করছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, তারা এই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে নূন্যতম সেবা তারা পাচ্ছেন না। সেবা নিতে গেলে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার হতে হয়।

ভেলিভারী করতে আসা বড়ভিটা ইউনিয়নের বিন্যাকুড়ী গ্রামের মলিনা বেগমের শ^াশুড়ী জানান – পরিদর্শিকা শাকিলা আক্তার ভেলিভারী করার জন্য ৩ হাজার টাকা দাবী করে বসেন তাছাড়া ভেলিভারী করাবেন না, বাধ্য হয়ে ২ হাজার টাকা তৎক্ষনাৎ সংগ্রহ করে দেয়া হয়। আমরা প্রধানমন্ত্রী কাছে এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে পরিদর্শিকা শাকিলা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- আমি উদ্ধর্তন কর্তৃক পক্ষে অনুমতি ছাড়া কোন তথ্য বা কিছু বলতে পারবো না।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ইফতে আরা সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে