দ্বিতীয় ধাপে বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। ফলে এ ইউনিয়নে ফের চেয়ারম্যান পদে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নির্বাচনের ভোট গণনা হয়নি এমন দাবিতে সড়ক অবরোধ করে অনশন শুরু করে অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির ও তার সমর্থকরা।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বরে (পৌর সুপার মার্কেটের সামনে) সড়ক অবরোধ করেন তারা।

ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫৭০০ ভোট পেয়েছেন। একই ভোট পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল বারী বাদল (আনারস)। ফলে এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ফলাফল অমীমাংসিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, নৌকার সিল দেওয়া একটি ব্যালট পেপার তার কর্মীরা উদ্ধার করেছে। কিন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা সেই ভোট কাউন্ট করেনি। পুলিশ প্রশাসন নৌকাকে হারাতে সব রকমের প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

তিনি বলেন আমি নির্বাচনে জয়লাভ করেছি, আমাকে সুকৌশলে হারানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে লড়ব।

স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএম বারী বাদল বাংলানিউজকে বলেন, নৌকার প্রার্থী ডিএন কলেজ কেন্দ্র দখল করে ভোট কাটার চেষ্টা করেছিল। তখন তারা ব্যালট কেড়ে নিয়ে সিল দিয়ে বাক্সে ফেলেছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির সদস্যদের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। ওইসময় তাদের কাছে যে ব্যালট ছিল সেই ব্যালট এখন বের করেছে। কারো কাছে সিল দেওয়া ব্যালট পাওয়া গেলে সেটা আইনে অপরাধ। তিনি ভোট না কাটলে আমি নিশ্চিত জয়লাভ করতাম।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যে ডিসিশন নিবে আমি মানতে বাধ্য।

বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম বালিয়াতলী ইউয়িনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান বলেন, দুজন প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন এ ক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাবো। এদের মধ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা এখন নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।  
বিক্ষোভের বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যালট বাক্সের বাইরে থেকে সিল মারা ব্যালট এনে গণনায় অন্তর্ভুক্ত করার কোন সুযোগ নেই। এটি আইন বহির্ভূত।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে