মো: বনি, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি: ধান আর পান হরিণাকুণ্ডুর প্রাণ। টানা দ্বীর্ঘ্য দিন ধরে বাজারে পানের সহজলভ্যতা। পান চাষীদের করেছে হতাশা। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পানের বরজ তৈরি করে উৎপাদন করতে হয় পান। আর সেই পান বিক্রয় করতে হচ্ছে পানির দরে। হারিয়ে যাচ্ছে প্রাণের পান। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পারায় আগ্রহ হারাচ্ছে চাষীরা।

জানা যায় এক সময়ে এই পান হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর সহ দেশব্যাপী পান রপ্তানি করে প্রচুর টাকা আয় করতো ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাষীরা। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে, লকডাউনে বিগত সময় ছাড়াও এখনো বাজারে পান চাষীরা পড়েছে বিপাকে। বড় সাইজের যে পান বিক্রি হতো প্রতি বিরা ১০০ থেকে ১১০ টাকা, সেই পান এখন হচ্ছে মাত্র ৪০ টাকা দরে।এছাড়াও ছোট সাইজের পান বিক্রি হচ্ছে পাঁচ- ছয় টাকা থেকে পনের-ষোল টাকা দরে। পানের বাজারের এই বিপর্যায়ের কারণে বিভিন্ন কিটনাশক ও শ্রমিকের মুজুরী দেয়ার পর ব্যাপক লোকসান গুনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তারা।

উপজেলার, , আমের চারা ,হরিণাকুণ্ডু জোড়াদাহ,শাখারিদাহ, বাজার পান ভাণ্ডার এলাকায় চাষীদের মাঝে দেখা গেছে হতাশা। স্থানীয় বাজারগুলোতে এক সময়কার চাষীদের চোখে ছিলো রঙ্গিন স্বপ্ন। বেচা কেনা হতো পঁচিশ ত্রিশ লাখ টাকার পান। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হই হুল্লোড় করে ছূটে আসতো পাইকারি ক্রেতা বিক্রেতারা। কিন্তু এখন পানের পানের নায্য দাম না পাওয়াই বহন করে আনার ভাড়া ও জুটছে না চাষীদের। হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মন্দিয়া , কালাপাহাড়িয়া ,রঘুনাথপুর , কাছারি তোলা,, সাবেক বিন্নি ,,তৈলটুপী , জোড়াদাহ, ভেড়াখালী,, চটকাবাড়িয়া,, আদর্শ আন্দুলিয়া, হরিণাকুণ্ডু, পান বরজের মালিকেরা জানালেন চরম ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কথা।

আড়রদার ভবানীপুর পান বাজার সভাপতি কাসেম জানান,আমি দ্বীর্ঘদিন ধরে পান ব্যবসার সাথে জড়িত। বর্তমানে পানের দাম খুবই কম। অর্ধেক দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে পান। তিন শত টাকা জনের দাম, এক আটি মুটির দাম পাঁচ শত টাকা, ওয়াসীর দাম পাঁচ শত টাকায় কিনতে হয়। বাজার মন্দা থাকায় পান চাষী এবং ব্যবসায়ীরা ব্যাপক লোকসানের মধ্যে পড়েছে।

হরিণাকুণ্ডু কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান জানান, উপজেলার প্রায় ১৩০০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়। এখানে ১৫৬০০ হেক্টরে ১২ জন কৃষক কাজ করে। পান চাষীরা কোন ধরণের কারিগরি পরামর্শ চাইলে তা কৃষি অফিস কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,পান চাষিদের চাহিদা অনুযায়ী সকল ধরনের পরামর্শ প্রদান, মাঠ পরিদর্শন পূর্বক সঠিক পরামর্শ প্রদান। নিরাপদ, রপ্তানিযোগ্য পান উৎপাদনে সকল পরামর্শ প্রদান করে থেকে। নতুন চাষিদের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পান চাষে সকল পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে। পানের প্রধান সমস্যা পঁচা রোগ নিয়ন্ত্রণে বোর্দো মিশ্রণ তৈরি করা এবং সঠিক মাত্রায় ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করে থাকি।পানের দাম কম হওয়ার কারনের মধ্যে রয়েছে, রপ্তানি বন্ধ হওয়া(যদিও কৃষি বান্ধব সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নতুন করে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে), ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, পানের আধুনিক জাতের অভাব।

এবং পানের বরজ মারা যাওয়াই হতাশায় আ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে