ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এ ইউনিট এর ভর্তি পরীক্ষায় পাশ না করেও ২ জন ভর্তিচ্ছুকে মেধা তালিকায় ও ১৯ জনকে অপেক্ষমান তালিকায় দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে কলা অনুষদ এর এ ইউনিট এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে ফেল করেও ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মেধাবী তালিকায় ২য় স্থান অর্জন ও নির্ধারিত ১৫৫ আসনে জন্য ২০৫ জন শিক্ষার্থীর মেধা তালিকার বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে কলা অনুষদ এর এ ইউনিট এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তির জন্য এ ইউনিট এর ১ম শিফটের ২য় ও ২য় শিফটে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, ভর্তি পরীক্ষায় উর্ত্তীন হতে হলে শিক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ১০ ও ইংরেজিতে ৬ পেতে হবে। কিন্তু প্রথম শিফটে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী অধিকারী ৫.৫০ ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ৫.০০ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। যা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত নিয়ম ভেঙ্গেই ফলাফল প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উল্লেখিত শিক্ষার্থীর ছাড়াও ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তির জন্য প্রথম শিফটে অপেক্ষমান ১ নং তালিকায় ৭ জন ও ২ নং অপেক্ষমান তালিকায় ১০ এবং ২য় শিফটে ১ম অপেক্ষমান তালিকায় ২ জন সহ মোট ১৯ জনকে অপেক্ষমান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উল্লেখিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ ৬ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ না হলেও তালিকায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার এ ইউনিটের সমন্বয়কারী ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে ফারহানা বলেন, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে কোন শিক্ষার্থী ৪০% নম্বর পেলে সেই শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য যোগ্য হবে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ১০ এবং ইংরেজি ১৫ নম্বরের হওয়ার কথা থাকলেও বাংলা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে যে ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা এবং ইংরেজি সাড়ে বারো করে পরীক্ষা নিতে হবে। সে অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি অংশের ১২.৫০ নম্বরের থাকায় সে অনুযায়ী ৪০% নম্বর ৫ হয়। সে অনুযায়ী তারা ৫ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এটা কোন ভুল নয়। মূলত বাংলা বিভাগের দাবি অনুসারে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ডক্টর মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, এরকম অভিযোগের বিষয়টি আমিও শুনেছি। এ বিষয়ে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে কি সমস্যা হয়েছে তা নিয়ে মিটিং করা হবে। এসকল বিষয় ভুল হতেই পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের বিষয়ে ভুল হলেও সংশোধন যোগ্য।

অন্যদিকে বিজ্ঞপ্তিতে এ ইউনিটে ১৫৫ আসনের কথা উল্লেখ থাকলেও দুই শিফট মিলিয়ে মেধা তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে ২০৫ জন শিক্ষার্থীর তালিকা। যেখানে এই ইউনিটের মোট আসনের থেকে উর্ত্তীন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০জন বেশী। যা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত নিয়মের নিয়ম বর্হিভূত।

P/B/A/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে