BISMUKTO_Chas-krishi

বিডি নীয়ালা নিউজ(৭ই মে১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ  বিষমুক্ত খাদ্যশষ্য উৎপাদনে মাটি ও পরিবেশ রক্ষার্থে জৈব সার ব্যবহার করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন বীরগঞ্জের মো. মোস্তাক শামিম বিপ্লব।

ভেজাল-রাসায়নিক সার ব্যবহারে পরিবেশ ও ফসলী জমির মারাত্মক ক্ষতি ছাড়াও মানুষের জীবন নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি করছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ও উৎপাদিত খাদ্যশষ্যের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে অর্গানিকভাবে উৎপাদনে এগিয়ে এসে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন মো. মোস্তাক শামিম বিপ্লব।

এরই মধ্যে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে তিনি কৃষিজাত ফসলের ধানবীজ, কলা, লাউ, মরিচ, পেপে, শাকস্বব্জীসহ ৪৩ প্রকারে ফসল উৎপাদন করে বিক্রি করছেন। তিনি শীঘ্রই বিষমুক্তভাবে মাছ ও মুরগী পালন শুরু করবেন বলে জানান। তার নিজস্ব জমিতে গড়ে তুলেছেন নার্সারি। ভেজাল মুক্ত খাদ্যপন্য মানুষের কাছে পৌছানোই তার অঙ্গীকার। এরই মধ্যে তিনি সফল হয়েছেন । বায়ুমণ্ডলে কার্বন হ্রাস, পরিবেশ ও টেকসই এবং যৌথ কৃষি উন্নয়ন বাস্তবায়নে সমবায়ী উদ্যোগ ও ভোক্তা সৃষ্টিতে গড়ে তুলেছেন একটি অর্গানিক ট্রেড প্রতিষ্ঠান এম এস বি গ্রিন এগ্রো।

মো. মোস্তাক শামিম বিপ্লব দেশের বাইরে রাশিয়ায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালেখা শেষে ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। কিন্তু তার চাকুরীতে আর্থিকভাবে সুবিধা না হওয়ায় তিনি ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু সফল না হওয়ায় সেটাও বাদ। যেহেতু তিনি কৃষকের ছেলে তাই তিনি কৃষি ও কৃষককে নিয়ে কাজ শুরু করেন। গড়ে তুলেন নার্সারী। এভাবেই ২০১২ সালে প্রথমে কেচো সার দিয়ে জৈব সার তৈরি করে এ নার্সারি যাত্রা শুরু করেন।

মোস্তাক শামিম বিপ্লব জানান, মাত্র একটি গরু থাকলেই ২ একর জমি বিষমুক্তভাবে চাষ করা সম্ভব। আমার নার্সারি ও ১০একর জমিতে অর্গানিকভাবে ফল, চারা, বীজ, ফসল চাষ এবং বিক্রি করি। আমি চাই আমাদের প্রয়োজনেই পরিবেশকে রক্ষা করার সাথে সাথে ভেজালমুক্ত খাদ্য খেয়ে সুস্থ্য জীবনধারণ করি।  এ ছাড়া কেঁচো সার নিজেই তৈরি করে ব্যবহার করি। কম্পোস্ট সার তৈরি করে বিক্রিও করবো শীঘ্রই। আমার কেঁচো ছাড়াও ২০টি গরু রয়েছে। এথেকে কমপক্ষে মাসে ৫ টন  জৈব সার তৈরি করা হচ্ছে।  তিনি জানান, কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই অর্গানিক পদ্ধতি কৃষিতে ব্যবহারে আকৃষ্ট করতে পারলে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে দেশের কৃষক এবং বিষ মুক্ত হবে আমাদের ফসল। এ ছাড়া কেঁচো দিয়ে সার তৈরি ও বিক্রি এবং কেঁচো বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়। এক কেজি কেঁচোকে ১৫০ কেজি খাদ্য দিলে ২০-২৫ দিনের মধ্যে ১০০ কেজি সার তৈরি হয়। কলাগাছ, কচুরিপানা, গরু, মুরগীসহ প্রাণীর বিষ্ঠা নিয়ে ১০-১৫ দিন পচিয়ে কম্পোস্ট তৈরি করে কেঁচোর খাদ্য তৈরি করা হয়। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই খাদ্য তৈরি হয়। এতে খরচ হয় ৩শ’ টাকা। ১০০ কেজি সার বিক্রি ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে পাওয়া যায় ১৫শ’ টাকা। এক কেজি কেঁচো বিক্রি হয় ৫ হাজার টাকায়। ২৫০ গ্রাম কেঁচো বৃদ্ধি পেয়ে এক বছরে এক কেজি কেঁচো হয়। প্রতি মাসে সার তৈরি সম্ভব ৫ টন।

সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে