শ্রী ঃ মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলা সাংবাদিক কল্যান পরিষদ জেলা পরিবার থেকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ।

১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় উপলক্ষে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ ও রণাঙ্গনের যুদ্ধে ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এ বিশেষ দিবস উপলক্ষ্যে তিনি এক বিবৃতিতে জানান ‘বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সর্বস্তরের সকলকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

বিশ্বে আমরাই একমাত্র জাতি যারা মাত্র নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে। ৩০ লাখ তাজা প্রাণ ও ২ লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ও তাদের আত্মত্যাগের ফলেই আমাদের বিজয় অর্জন সম্ভব হয়। আমাদের স্বাধীনতা তাই অনেক ত্যাগ ও দাম দিয়ে কেনা।

এই বিশেষ দিবসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

তার পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গি, মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ক্ষুধা ও দারিদ্রতা মুক্ত একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলে কাজ করে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি’।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হোক আসনে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ৯০ ও ৯৬ এর আন্দোলন সংগ্রামের রাজপথের সাহসী সৈনিক সাবেক ছাএলীগ ও যুবলীগ নেতা নজির আহমদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মানবতার ফেরিওয়ালা গরীব অসহায় মানুষের আস্হা আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যাবসায়ী ডক্টর জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন বলেছেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে রয়েছে কয়েকটি জাতীয় দিবস।

২১ ফেব্রম্নয়ারি শহীদ দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অর্জনের ও আত্মগৌরবের একটি দিন ১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে আনে।

সেই থেকেই পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নিই নতুন একটি দেশ বাংলাদেশ। আর সেই থেকেই দেশপ্রেমের সৃষ্টি। দেশপ্রেম হলো দেশের প্রতি ভালোবাসা।

বহির্শত্রম্নর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা। দেশের প্রতি অনুগত থাকা। ডিসেম্বর মাস। বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক মাস। একটি বিজয়ের মাস। একটি গৌরবের মাস। ডিসেম্বর আমাদের প্রেরণার মাস। ডিসেম্বর আমাদের আনন্দ ও বেদনার মাস। ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে আমরা অনুভব করি ডিসেম্বর কেন বেদনার ছিল, কেনই বা অনুপ্রেরণার হলো? বিজয়ের কথা যখন অনুভব করি তখন আমরা আনন্দে আত্মহারা হই।

তাই ইতিহাসকে জানতে হবে, জানাতে হবে নতুন প্রজন্মকে। বিজয়ের প্রেরণা লালন করতে হবে সবাইকে। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীন হলেও এই ভূখন্ডের বাঙালির স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আসেনি। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত বিভক্ত হয় এবং পূর্ব বাংলাকে নিয়ে পাকিস্তান নামে একটি অসম রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাঙালির ওপর চেপে বসে এবং শাসন, শোষণ ও নির্যাতনের স্টিম রোলার চালায়।

শুধু ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্র গঠন হলেও হয়নি ভাগ্যের উন্নয়ন। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান।

৫২-এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ‘৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ‘৫৬-এর সংবিধান প্রণয়নের আন্দোলন, ‘৫৮-এর মার্শাল ‘ল বিরোধী আন্দোলন, ‘৬২-এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ‘৬৬-এর বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফার আন্দোলন, ৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ‘৬৯-এর রক্তঝরা গণঅভু্যত্থান, ৬-দফা ভিত্তিক ‘৭০-এর ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন মুক্তিযুদ্ধকে অবধারিত করে তোলে। এই সব আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চৌকস নেতৃত্বেই কাল হলো বঙ্গবন্ধুর। ছক করা হলো তাকে দাবিয়ে দেওয়ার।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে।

এরই প্রেক্ষাপটে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে রাখা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতেই তাকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত বাংলাদেশের সরকারের অধীনে পরিচালিত দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হানাদার ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস।

৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।

এই বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে অভু্যদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। আত্মসমর্পণ নিয়ে আলোচনায় সাব্যস্ত হয়, ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হলেও নিয়াজি ও তার বাহিনী তখনই অস্ত্র সমর্পণ করবে না।

জেনারেল জ্যাকব ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের অস্ত্র রাখার অনুমতি দেন। ফলে পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধবন্দি হলেও ঢাকা সেনানিবাসে তাদের অবস্থান ছিল সশস্ত্র। এ এক অদ্ভুত পরিস্থিতি। তিন দিন পর ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা সেনানিবাসের গলফ মাঠে অস্ত্র সমর্পণ করে পাকিস্তানি বাহিনীর ৩০ হাজার সৈন্য। তাদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। মিত্রবাহিনীর পক্ষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জগৎ সিং অস্ত্র গ্রহণ করেন। বাঙালির এই মুক্তিযুদ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে