lance

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৫ই জুন ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা দিতেই ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে চারতলা বিশিষ্ট  অত্যাধুনিক লিফটযুক্ত সর্ববৃহৎ লঞ্চ ‘সুন্দরবন-১০’ আজ উদ্বোধন হচ্ছে। ঈদে স্পেশাল লঞ্চ হিসেবে চালু করার মধ্য দিয়ে এটি এই রুটে নিয়মিত চলাচল করবে।

আজ শনিবার বেলা দেড়টায় সদরঘাটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জজামান খাঁন কামালেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বরিশালের তিন সংসদ সদস্য, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছেন বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন।

লঞ্চটি চালুর পরপরই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক যোগাযোগ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার লঞ্চটি বরিশাল থেকে যাত্রীবিহীন ঢাকায় পৌঁছেছে। এখন উদ্বোধনের জন্য লঞ্চটিকে নানা রঙের ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে।

বরিশাল-ঢাকা-ঝালকাঠী-পটুয়াখালী রুটে চলছে সুন্দরবন নেভিগেশনের আরও ৯টি লঞ্চ এরমধ্যে ‘সুন্দরবন-৮’ই ছিল দেশের সর্ববৃহৎ লঞ্চ। ‘সুন্দরবন-৮’ দৈর্ঘ্যে ৩০০ ফুট প্রস্থে ৪৬ ফুট। সুন্দরবন-১০ তার চেয়েও বৃহৎ। এটি দৈর্ঘ্যে ৩৩২ ফুট প্রস্থে ৫২ ফুট। সুন্দরবন নেভিগেশনের লঞ্চগুলোর মধ্যে ‘সুন্দরবন-১০’ সবচেয়ে অত্যাধুনিক।

লঞ্চটিতে রয়েছে ডুপ্লেক্স কেবিন, ফুডকোর্টসহ আধুনিক নানান প্রযুক্তির ছোঁয়া। এই প্রথম কোনো লঞ্চে যুক্ত হলো লিফট ও সিসিইউ ইউনিটের সুবিধা। লঞ্চের নিচতলায় অগ্রভাগে হৃদরোগীদের জন্য একশয্যার সিসিইউ ইউনিট থাকবে। যেখানে অক্সিজেনের পাশাপাশি চিকিৎসক ও সেবিকার সহায়তা পাওয়া যাবে।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় রয়েছে প্রথম শ্রেণির জন্য শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত সিঙ্গেল ও ডাবল মিলিয়ে ২৪০টি কেবিন। লঞ্চের সিঁড়ি এমনভাবে নির্মিত যে নিচ তলা থেকে সরাসরি দ্বিতীয় বা তৃতীয় তলায় যাওয়া যাবে। রয়েছে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ৪০টি সোফা ও ১২ টি কমনবাথ রুম। এছাড়াও ভিআইপ কেবিন ছাড়াও রয়েছে ৬টি বিশেষ ভিআইপি কেবিন। যার প্রতিটি কক্ষের সঙ্গেই রয়েছে আলাদা বাথরুম, বারান্দা, এসির ব্যবস্থা। এর প্রতিটিই আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। ভিআইপি কেবিনগুলোর নাম রাখা হয়েছে- ৭১, অমর একুশেসহ সংগ্রাম, ইতিহাস-ঐতিহ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নামে।

সুন্দরবন নেভিগেশনের এর স্বত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, লঞ্চটির ডেকের নিচে ১২টি কম্পার্টমেন্ট করা হয়েছে। যাতে লঞ্চের তলার কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অপর অংশে পানি প্রবেশ করতে না পারে। এরপর নিচতলার ডেকে রয়েছে হাঁটার জায়গা, পর্যাপ্ত টয়লেট, ডেকের যাত্রীদের জন্য রয়েছে ক্যান্টিন। নিচতলায় এলইডি ও সাধারণ লাইটের সংযোজনে আলোকসজ্জায় আনা হয়েছে।

প্রায় ১৪০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ লঞ্চ বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীরে বেলতলা ফেরিঘাট এলাকায় সুন্দরবন নেভিগেশন ডক ইয়ার্ডে নির্মাণ করা হয়।

 

 

 

dh/times

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে