কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে মাদকসেবীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফলে অভিভাবকরা সন্তানের নিয়ে হতাশায় ভুগছে। মাদক সেবনকারী অধিকাংশ শিক্ষিত বেকার যুবক পাশা পাশি স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী ও অল্প শিক্ষিত ছেলে যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর মধ্যে। কোন মতেই থামানো যাচ্ছে না তাদেরকে এই নেশার হাত থেকে। দুপুর,বিকেল,সন্ধা এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের মাদকসেবন। ইদানিং লক্ষ করা গেছে মাদক দ্রব্যের মধ্যে ইয়াবা, হিরোইন,ফেনসিডিল,গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের নেশায় তারা আসক্ত হয়ে পড়েছে। মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ড, মাগুড়া বাজার, চেকপোষ্ট, বালাবাড়ীর মোড়, মাগুড়া মাস্টার পাড়া, মাগুড়া কলেজ, মাগুড়া স্কুল মাঠ এলাকাসহ আশ পাশের এলাকা গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা। উল্লেখ্য যে, নেশার টাকা জোগান দিতে গিয়ে বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি,পিতা-মাতা,স্ত্রী প্রতি নানাবিদ নির্যাতন। পারিবারিক ভাবে নেশার টাকা জোগান দিতে না পারায় মাদকসেবীরা হাত বাড়াচ্ছে বিকল্প পথে চুরি,ডাকাতি,ছিনতাইসহ নানা ধরণের অপকর্মে। মাগুড়া স্বাধীন বাংলা যুব ক্রীড়া চক্রের উপদেষ্টা আজাদুল করিম আজাদ বলেন মাগুড়া যে হারে মাদকসেবীর সংখ্যা বাড়ছে আমি একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে সংকিত এবং এটি বন্ধে এগিয়ে আসা সকলরেই দরকার তা না হলে এই মাদকের ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে। মাগুড়া সাদ ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্তাধিকারী আব্দুল আলিম লিটু বলেন মাগুড়া বাসষ্ট্যান্ডে যে হারে মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বাড়ছে আগামী দিনে এটি ভয়াবহরুপ ধারণ করবে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিমূল করা দরকার। মাগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু বলেন মাদক সেবীদের চিহ্নিত করুন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া তিনি আরো বলেন মাদকসেবীরা যে দলের লোক হউক না কেন, তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি মিটিংএ আছেন বলেন জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে