মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ  নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রণোদনার ২ হাজার ৫শত টাকার তালিকায় সম্পদশালীদের নাম অন্তর্ভূক্ত করায় তা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে। এতে  দরিদ্রদের বঞ্চিত করে সম্পদ শালীদের সুবিধা প্রদান করা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার ওই অভিযোগ মতে, জানা যায় ওই ইউনিয়নে ২ হাজার ৫শত টাকার সুবিধাভোগীর সংখ্যা একহাজার ৭৩ জন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রণোদনার তালিকায় সচ্ছল, সম্পদশালী, পাকা বাড়ি, ১৫ থেকে ২০ বিঘা কৃষি জমির মালিক, ব্যবসায়ীর নাম অন্তর্ভূক্ত  করে ইউপি চেয়ারম্যান। এসব অভিযোগ তুলে এলাকার ৬৮৮ জন স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেন জেলা প্রশাসকের কাছে।
ওই অভিযোগে স্বাক্ষরকারী ইউনিয়নের মাগুড়া মাস্টারপাড়া গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলাম (৫০) বলেন,”এবারের করোনা পরিস্থিতিতে বেহাল দশা মানুষের। এ অবস্থা কাটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যানের দূর্নীতিতে সেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার দরিদ্র,কর্মহীন মানুষেরা। ইউপি চেয়ারম্যান নিজের অত্মীয়স্বজন নাম দিয়ে তালিকা তৈরি করেন।
প্রণোদনার তালিকায় ২৫০ নম্বরে নাম  রয়েছে ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের আব্দুল হাই নামে এক কৃষকের। ওই কৃষকের দেড় বিঘা জমির ওপর রয়েছে আধাপাকা বাড়ি। কৃষি জমি রয়েছে ২০ বিঘার উর্দ্ধে। এবারে আট বিঘা জমিতে ভুট্টা ও  আট বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। স্থানীয়রা এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে জানান সম্পর্কে আব্দুল হাই ইউপি চেয়ারম্যানের চাচা শ্বশুর। 
২৬৬ নম্বরে নাম থাকা আব্দুল মতিন আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই। তারও রয়েছে আধাপাকা বাড়িসহ প্রায় ২০ বিঘা কৃষি জমি। সম্পর্কের দিক থেকে তিনিও ইউপি চেয়ারম্যানের চাচা শ্বশুর। 
২৭০ নম্বরে নাম থাকা সরকারপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামও একজন স্বচ্ছল ব্যক্তি। ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যানের পক্ষে লোক বলে  তালিকায় নাম উঠেছে তার। একই গ্রামের ২৬৭ নম্বরে নাম থাকা শরিফুল ইসলাম একজন হোটেল ব্যবসায়ী। পরিবারের স্বচ্ছলতা থাকলেও তালিকায় নাম উঠেছে তার। ওই গ্রামের ১৮৮ নাম্বারে নাম থাকা মিন্টু মিয়ার স্ত্রী ময়ছেনা বেগমের নামে রয়েছে ভিজিডি কার্ড। যার বই নম্বর ১৫৫।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হোসেন শিহাবকে প্রশ্ন করা হয়  তালিকায় চাচা শ্বশুরের নাম আছে বললে  অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমার চাচাত ভাইয়ের নাম আছে। আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। আমি সরকারী নিয়ম মেনে তালিকায় নাম দিয়েছি।
জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি দ্রুত তদন্ত করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে