আসাদ হোসেন রিফাত, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ মানুষের বিবেক কতটা নীচে নামলে শিশু কন্যাকে হাতিয়ার বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পারে তার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে।

চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের উঃ মুসরত মদাতী গ্রামে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ৯ বছরের এক শিশুকে দিয়ে আরিফুজ্জামান লিখন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জ থানায় যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় জয়নাল আবেদীন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে অভিযুক্ত করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৫।

অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীন উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল তেলীর ছেলে।তিনি খুর্দ্দ বিছনদই মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায় ওই মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির এমন অভিযোগে মামলায় সকালে দেখানো হয়েছে। সেই দিন ছিল শুক্রবার বন্ধের দিন। সেদিন তিনি বাড়ীতেই ছিলেন এবং ওই বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দিতেন বিকেলে।

এলাকাবাসী জানায়, জয়নাল আবেদীন হুজুর ৩৫ বছর থেকে মসজিদে আযান দেয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দিয়ে আসছেন। তার নিকট এই এলাকার অনেকেই কোরআন শিক্ষা নিয়েছে। তার এমন আচরন আমরা এলাকাবাসী কখনো দেখিনি। তিনি অত্যান্ত ভাল মনের মানুষ। যে মানুষটি রাস্তায় চলার সময় কখনো কারও দিকে তাকায় নি সেই মানুষটি এমন ন্যাক্কারজনক কাজ কখনোই করতে পারেন না। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী জয়নাল হুজুরের মুক্তি চাই।

জয়নাল আবেদীনের ছোট ভাই আবু হানিফ বলেন, আমার ভাইয়ের ৬৫ বছর বয়সে কোন দিন এরকম শুনিনি। এটা উদ্দিশ্য প্রনেদিত। পুর্ব শত্রুতার জেরে এমন সাজানো ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে আমার ফেরেশতার মত বড় ভাইকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয় কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, মামলা দায়েরের পর আসামিকে গ্রেপ্তার করে লালমনিরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে