ঢাকা উত্তরায় খিলখেত নামাপাড়া বরুয়া বাজার সংলগ্ন অবস্থিত আর এস ৭৯৯ বর্তমানে ১২২৭৯ / ১১২৯৯ জমি নেভি অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা ক্রয় করে। সাবেক নেভি সদস্যরা তাদের ক্রয়-কৃত জমিতে বসতি স্থাপন করতে গেলে বাধা দেন শেফালী আক্তার। কোন কাগজপত্র ছাড়াই নীজ পৈত্রিক সম্পত্তি বলে তিনি দাবী করেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় শেফালী আক্তার উক্ত জমি দখল করে দিব্যি তার নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে নেভি সদস্যরা দীর্ঘদিন থানা পুলিশ ঘুরে আদালত প্রাঙ্গনেও হাজির হন সেখান থেকে ১৪৫ ধারা জারির একটি আদালতের আদেশ নিয়ে আসেন। আদালতের আদেশ অমান্য করে শেফালী আক্তার তার নিজ ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। আদালতের আদেশের পরও নির্মাণ কাজের জন্য ইট, বাল, সিমেন্ট মজুদ করেছেন এবং গভীর রাত্রে কাজ করা হয় বলে জানান এলাকাবাসী।
শেফালী আক্তার এর কাছে উক্ত বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি আমার পৈতৃক সম্পত্তি কিন্তু তিনি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

তার গ্যারেজে অটো চার্জের জন্য বাণিজ্যিক সংযোগ আনার নিয়ম থাকলেও তিনি এনেছেন সাধারণ সংযোগ। অন্য জায়গার দাগ নাম্বার দেখিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগটি অবৈধভাবে আনার কারণে বিদ্যুৎ বিভাগ সংযুক্তি বিচ্ছিন্ন করতে চাইলে তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে বিদায় করা হয়। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে একটি জরিমানা আরোপ করা হয়।
এ বিষয়ে শেফালী আক্তার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যান এবং অস্বীকার করেন।
তিনি উল্টো পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন পুলিশ প্রশাসন হয়রানি করছে ।শেফালী আক্তার আরো বলেন উনারা আমাদেরকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করাচ্ছে ছাত্রলীগ যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ হুমকি দিচ্ছে।
কিন্তু সরজমিনে দায়িত্ব রত পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদেরকে জানান আমরা আদালতে নির্দিষ্ট ১৪৫ ধারা জারি করেছি কিন্তু শেফালী আক্তার কোনোভাবেই উক্ত ধারা মানতে না খোশ। ওসি সাহেব তাকে বারবার তলব করার পরও তিনি যাননি । আদালতের নির্দেশ পালনের জন্য অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাউনি এলাকার এক সচেতন নাগরিক বলেন অটোর গ্যারেজ তো খালি চোখে আপনারা দেখেন রাতে আসবেন তখনই পাবেন গাজার গন্ধ আর ইয়াবার গন্ধ।
এলাকার আরেক ব্যক্তি বলেন শেফালিয়া আক্তার ভয়ংকর এক নারী দেশে নারীদের জন্য আইন আছে তাই শেফালির সাথে কারোরই কোন কিছু করা সম্ভব না। পুরো এলাকার মানুষ রীতিমতো তাকে ভয় পায়।

এদিকে ভুক্তভোগী নেভি সদস্যরা একজন বলেন আমরা আইনকে সম্মান করি। শেফালী আক্তার সবকিছুই অবৈধ। অবসরকালীন ভাতার টাকা দিয়ে জায়গা কিনেছি এখন ঘরবাড়ি ছাড়া আছি। নেভিতে চাকরি করেও আমরা ভূমিহীন। আমাদের টাকায় কিনা জাগাতে আমরাই প্রবেশ করতে পারছি না। পরিবার নিয়ে বিপদে আছি নেভিতে চাকরি করার সুবাদে যদি আমাদের এই অবস্থা হয় তাহলে দেশের সাধারণ মানুষের কি অবস্থা সেটাই এখন বিষয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে