বিডি নীয়ালা নিউজ(৮ই এপ্রিল১৬)-আ,ফ,ম,মহিউদ্দিন শেখ(কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধি)ঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের পরিবর্তিত প্রার্থী প্রত্যাখান করে ইউনিয়ন বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমুল নেতা কর্মীরা।
এছাড়া স্থানীয় নেতা কর্মীদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সাংসদ বিলকিস ইসলামকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপি।
শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ উপজেলা সদরের থানা সড়কে অবস্থিত বিএনপি প্রার্থী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রত্যাখান ও অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দাদ-এ-এলাহী। সেখানে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা পাটোয়ারী, সদর ইউনিয়ন সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, তাঁতীদলের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানান, তৃণমুলের মতামত নিয়ে রেজুলেশন করে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে মনোনীত করে উপজেলা কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়।
যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে পত্র প্রেরণ করলেও হঠাৎ করে ৬এপ্রিল তৃণমুলের মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তণ করে উপজেলা যুবদলের সভাপতিকে প্রার্থী হিসেবে পত্র প্রেরণ করা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, আ’লীগ প্রার্থীকে জেতানোর জন্য এবং দলের ক্ষতি করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য বিলকিস ইসলাম ষড়যন্ত্র করে প্রার্থী পরিবর্তন করেছেন। নতুন করে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তার জনপ্রিয়তা নেই এবং নেতা কর্মীদের কাছ গ্রহণযোগ্যতা নেই।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দাদ-এ-এলাহী উল্লেখ করেন যদি তৃণমুলের মনোনীত প্রার্থীকে ধানের শীষ দেয়া না হয় তাহলে মহাসচিবের পরিবর্তিত প্রার্থীকে প্রত্যাখান করে তৃণমুলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন সকল নেতা কর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা পাটোয়ারী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রার্থী নির্বাচন করেও কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেয়া প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে অধিকাংশ নেতা কর্মী। তিনি অভিযোগ করেন, যদি তৃণমুলের মতামতকে উপেক্ষা করা হয় তাহলে ক্ষমতা দেয়া হলো কেন?।
সংবাদ সম্মেলনে তৃণমুলের প্রার্থী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ধানের শীষ না পেলেও দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করে দিয়ে তার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন।
তবে বিএনপি ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সাংসদ বিলকিস ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রার্থী পরিবর্তন হওয়ায় বঞ্চিতের ক্ষোভ থাকতেই পারে। আমি হলেও সেটা করতাম। দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাই কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
