প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নিজের  ফোনালাপকে নির্দোষ দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সেই সঙ্গে ওই কথপোকথনকে দেউলিয়ারা ঘুঁটি বানানোর চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে আইনজীবী সমিতির কাছে প্রধানমন্ত্রীর ২০ কোটি টাকার প্রণোদনার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নিজের একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা এবং মন্ত্রীর ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে সে বিষয়ে আপনারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই এটার তদন্ত করে  পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ব্যাপারটা হচ্ছে- যারা এই অডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করছে, তারা এতই দেউলিয়া যে, একটা ইনোসেন্ট (নির্দোষ) কনভারসেশনকে (কথোপকথন) তারা ঘুঁটি বানানোর চেষ্টা করছে। এর মানে হচ্ছে তাদের কাছে কোনো হাতিয়ার নেই।

তিনি বলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে, আমি টেলিফোনে একজন উপদেষ্টাকে উত্তর দিচ্ছিলাম। তিনি একটা ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টার একটা প্রজেক্ট… ইনফো সরকার প্রজেক্টটা তার ব্রেইন চাইল্ড, সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। দেউলিয়া যারা, এটা নিয়ে প্রচার করছে। আমরা মনে হয় এটার তদন্ত করা হবে। এটাকে গুরুত্ব দেওয়া আমরা মনে হয় সঠিক হবে না। ’

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ফোনালাপে সালমান এফ রহমান ও আইনমন্ত্রীকে একটি প্রজেক্ট পাস করা নিয়ে আলোচনা করতে শোনা যায়।

কয়েকটি দল সার্চ কমিটির জন্য নাম জমা দেননি, যারা নাম দেননি তারা বলছে এই নির্বাচন কমিশনের জন্য আইন করে কোন লাভ হবে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এখানে দুইটা জিনিস আপনার প্রশ্নের মধ্যে উত্তর রয়েছে। তারা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চান না। ব্যাপারটা হচ্ছে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের দুইটি বিভাগ কেয়ারটেকার সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সেখানে বলাছিল, যা হয়ে গেছে তা অবৈধ হলেও এই কেয়ারটেকার পদ্ধতিতে আরও দুই/একবার নির্বাচন করতে পারে যদি সংসদ তাতে রাজি হয়। কিন্তু যখন আইন পাস হয়, সংসদ কিন্তু সে সাজেশন গ্রহণ করেনি। সেক্ষেত্রে কেয়ারটেকার সরকারের কোনো বৈধতা নেই। ওই রায়ের আলোকে কেয়ারটেকার সরকারে ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই।

তিনি বলেন, সার্চ কমিটি কিন্তু একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারা জানেন, অতীতে আইন যেহেতু ছিল না, তাই সার্চ কমিটি এখন যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করে কাজ করে যাচ্ছেন, সে প্রক্রিয়া তারা আগে ফলো করেননি। এখন যেটা করছেন আইনের কারণে করছেন। সবার সঙ্গে বসে একটা ঐকমত্যের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে ১০ জনের নাম সুপারিশ কারার চেষ্টা করেছে। যেহেতু তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন, চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, আমি সেখানে কোন বক্তব্য রাখব না।

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে