ভাইরে ভাই আমার সব শেষ। কিচ্ছু বের করতে পারি নাই। দোকানের ক্যাশবাক্সে টাকা ছিল, ঈদের আগে দোকান ভরপুর ছিল জামা-কাপড়ে। আগুন সব শেষ করে দিছেরে ভাই, আমি শেষ।

এভাবেই আক্ষেপ করে কান্না করছিলেন নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার ব্যবসায়ী শাহিন।

তিনি বলেন, ‘দোকান বন্ধ করে রাত ৩টার দিকে বাড়ি ফিরেছিলাম। সেহরির পর নামাজ পড়ে মাত্র শুয়েছি, এরমধ্যেই খবর পাই মার্কেটে আগুন ধরেছে। সেই সময় কোনোমতে এসে দোকান থেকে মালামাল বের করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আগুনের তাপে দোকান পর্যন্ত যেতে পারিনি। আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের তিনতলায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্বিতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়ে।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, অরক্ষিত বৈদ্যুতিক লাইন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। আর অগ্নিনির্বাপণেরও ভালো ব্যবস্থা ছিল না। সব মিলিয়ে আগুনকে নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা আসলে ছিল না।

তাদের অভিযোগ, দোকান মালিক সমিতি কেবল নিজেদের ভালো থাকার ব্যবস্থা করেছেন। তারা মার্কেটের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে ভাবেননি। এ কারণে আগুন ধরলেও তা নেভানোর ব্যবস্থা ছিল না। এছাড়া বিভিন্ন সময় বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের জন্য বলা হলেও সে সব বিষয়েও মালিক সমিতি কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেন তারা।

ঘটনাস্থলে নিজের দোকান থেকে মালামাল বের করার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটের ইমন নামের এক দোকানি বলেন, ভেতরে অনেক আগুন, মার্কেটের অধিকাংশ দোকান পুড়ে যাবে। নিচতলায় এবং প্রথম ও দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির কাছাকাছি থাকা দোকানগুলোর মালামাল শুধু বের করা সুযোগ পাবে। বাকি দোকানের মালামাল বের করার সুযোগ হচ্ছে না।

এদিকে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট কাজ করছে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরাও সহায়তা করছেন। 

SO/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে