রাজিউল ইসলাম স্বপন, নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নাসিক নির্বাচনে একক স্বার্থ হাসিলের জন্য রাজপথে ছিল স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ তিন নেতা।গতকাল বৃহঃস্পতিবার বেশ আলোচনা সমালোচনার মধ্যে দিয়ে অত্যান্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে নাসিক নির্বাচন।

আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ডা, সেলিনা হায়াৎ আইভী বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খাঁনের ব্যাপক জোয়ার থাকা সত্বেও শেষ পরিনতিতে পরাজয় বরণ করে নিতে হয়।বিএনপির শীর্ষ তিন নেতা হলেন,বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা,জেলা বিএনপির সভাপতি এড.তৈমুর আলম খন্দকার,বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এবং সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ।

জানা যায় যে,বিএনপি চেয়ারপারসন এর পক্ষ থেকে এই তিন নেতাকে মেয়র প্রার্থী হিসাবে সিলেকশন করলে ও কেউ রাজি হননি।পরে সাহসিকতার সাথে বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন সেভেন মার্ডারের প্রধান আইনজীবী ও তিন বারের নির্বাচিত জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি,এড.সাখাওয়াত হোসেন খাঁন।পরে এই তিন নেতাকে ডেকে সাখাওয়াত এর পক্ষে কাজ করার জন্য কড়া নির্দেশনা দেন দলের চেয়ারপারসন।এবং দায়িত্ব বন্ঠন করেন,তৈমুর খন্দকার কে নারায়নগঞ্জ শহর,গিয়াস উদ্দিনকে সিন্ধিরগঞ্জ ও আবুল কালাম আজাদকে বন্দর।কিন্তুু তাদের কেন্দ্রীয় নেতাগনের সাথে উপস্থিত লক্ষ্য করা গেলেও অন্য সময় তাদের খুজে পাওয়া যায়নি,শুধু দল নয় নিজ স্বার্থ হাসিলের কাজ করেছেন বলে দাবি বিএনপি নেতা কর্মীগনের।কেননা,তৈমুরের ছোট ভাই মহানগর যুবদলের আহব্বায়ক দুইবারের কাউন্সিলর,মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ শহরের ১৩ নং ওয়ার্ড,গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মাদ সাদরিল ৫ নং ওয়ার্ড,আবুল কালাম আজাদ এর ছেলে মহানগর ছাত্রদলের আহব্বায়ক,আবুল কাউসার আশা ২৩ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।এতে দলীয় প্রার্থীকে ফেলে নিজ নিজ প্রার্থী কে জয়ী করার জন্য স্ব স্ব কেন্দ্র গুলোতে ব্যস্ত সমায় পার করেন।আর এ নিয়ে তৃর্নমূল নেতা কর্মীগনের মাঝে শুরুহয় ব্যাপক সমালোচনা।
মহানগর বিএনপি নেতা আবুল হোসেন বিডি নীয়ালা নিউজকে বলেন,নারায়নগঞ্জে এত বড় দায়িত্ব প্রাপ্ত তিন জন ব্যক্তি থাকা সত্বেও আমরা এই পরাজয়কে মেনে নিতে পারছি না,এই নিউজের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতাদের বলতে চাই,এই ব্যর্থতা নাঃগঞ্জের নেতা কর্মীদের নয়,স্বার্থবাদী নেতাদের,সংষ্কারপন্থী­দের, জাতীয় বেঈমানদের,তাদের সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হোক।তৈমুর,গিয়াস এবং কালাম কে দায়ী করি।প্রতিবাদ জানাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে,তেমনি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহব্বায়ক,মশিউর রহমান রনি তার ফেসবুক স্টাটাসে লিখেন,”যারা বেঈমান তারা কোন দিন শোধরাবেনা বিএনপির সাথে,বেঈমানীর ফল খুব তারাতারি তারা পুরুষ্কার পাবে”অপর এক স্টাটাসে বলেন,”আমরা সারা দিন খেটে যাই সিনিয়ররা তা ভোগ করে”।
জেলা ছাত্রদলের একজন কর্মী,আব্দুর রহমান মোল্লা তার ফেসবুক স্টাটাসে লেখেন, সিনিয়র নেতা প্রথমেই মজলুম নেতা তৈমুর সাহেব এর কথাই বলি,
জেলা বিএনপির সভাপতি হয়ে কি ভূমিকা রেখেছেন আপনি? দ্বিতীয় সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন সাহেব এর কথা বলি আপনি কি করেছেন? বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এসেছে আর আপনি ভূরিভোজন করিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন, আর এক সাবেক এমপি আবুল কালাম সাহেব কেন্দ্রিয় নেতা এসেছে আর আপনিও সেলফি উঠিয়েছেন, আপনারা তিন জনই দলের সাথে বেঈমানী করেছেন, আপনারা ভাই আর ছেলেদের নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, এই ভণ্ডামি ছাড়েন আপনারা, নারায়ণগঞ্জ জেলা রাজনীতিতে আপনারা বিভাজন তৈরী করেছেন, আপনারা আলাদা আলাদা গ্রুপ নিয়া ব্যস্ত, আপনারা নিজের লাভ এত ভালো বুঝলে দলের পদ ছেড়ে দেন, আমরা আপনাদের কে ধিক্কার জানাই, আপনারা স্বার্থবাজ নেতা, দল থেকে আপনারা লাভ নিয়েছেন বিনীময় দিয়েছেন কি? হ্যা দিয়েছেন অনেক বড় বিষয়, তৃর্ণমূল কে ধ্বংস করে দিয়েছেন! আপনাদের কে জাতীয়ও বেঈমান আখ্যায়িত করা দরকার। ধিক্কার আপনাদের কে। তবে তৈমুর এর ভাই খোরশেদ,গিয়াজ উদ্দিনের ছেলে সাদরিল কাউন্সিলর হিসাবে জয়ী হয় এবং আবুল কালাম তার ছেলে আশাকে জয়ী করতে ব্যর্থ হন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে