ডেস্ক রিপোর্টঃ বিনয়ের সঙ্গে মহান আল্লাহ তাআলার নিকট একান্তভাবে কোনো কিছু চাওয়া বা কামনা করারই হলো দোয়া প্রার্থনা করা। মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে তখনই জিকির-আজকার, দোয়া-কালাম পড়তে থাকে। এ রূপ করা মুমিন ব্যক্তির জন্য সুন্নাতি গুণও বটে।

ইমাম নববি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘এ ব্যাপারে ওলামায়েকেরাম এক মত যে, আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া করা; প্রার্থনা করা মুস্তাহাব। তবে বিপদের সময় দোয়া করা সুন্নাত। কেননা সকল নবি-রাসুলগণ থেকে দোয়া করার প্রমাণ রয়েছে।

কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্য হাসিলে অন্যায় ও গোনাহের কাজ ছেড়ে দিয়ে আল্লাহ তাআলার দিকে ফিরে গিয়ে তাঁর দরবারে একান্ত আবেদন নিবেদন করাই দোয়া। এ দোয়া কবুলের জন্য প্রার্থনাকারীদের জন্য রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পালনীয় আদব। দোয়া কবুলে প্রার্থনাকারীর জন্য যা পালন করা আবশ্যক। তা হলো-

>> হালাল খাবার গ্রহণ করা। অর্থাৎ হারাম বস্তু পানাহার থেকে বিরত থাকা;

>> আল্লাহর নিকট দোয়া করার আগে যে কোনো ধরনের নেক কাজ করা। যেমন- নফল নামাজ, দান-সাদকা, রোজা, কুরআন তেলাওয়াত, দরূদ পাঠ ইত্যাদি।

>> দোয়ার সময় একান্ত মনে আল্লাহর ভয় এবং মহব্বত নিয়ে একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে দোয়া করা।

>> দোয়ার সময় অবশ্যই ওজু করে কিবলামুখী হয়ে নামাজের সুরতে বসে দোয়া করা।

>> দোয়ার শুরুতেই মহান আল্লাহর প্রশংসা এবং প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পাঠ করা। অতঃপর নিজের চাওয়া-পাওয়ার আবেদন-নিবেদন করা।

>> বিনয় ও নম্রতার সঙ্গে উভয় হাত কাঁধ বরাবর ওঠিয়ে দোয়া করা।

>> আল্লাহর গুণবাচক উত্তম নাম এবং নবি-রাসুলগণের ওসিলা অবলম্বন করা।

>> অতি নিম্নস্বরে নিজের গোনাহের কথা স্বীকার করে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে কবুল হওয়ার পূর্ণ দৃঢ়তা নিয়ে বারবার আল্লাহর নিকট ধরনা দিতে থাকা।

সবধান থাকতে হবে-
দোয়া করার সময় কোনো গোনাহ কাজ করার বিষয়ে কিংবা অসম্ভব বিষয়ে দোয়া করা ঠিক নয়। এ রূপ দোয়া করা মারাত্মক অপরাধ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে যথাযথ আবেগ-অনুভূতির সঙ্গে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার মুখাপেক্ষী হয়ে একান্ত মনে উভয়হাত ওঠিয়ে দোয়া করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়া ও পরকালীন সার্বিক বিষয়ে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

জে/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে