২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এ হার গত বাজেটে ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস হতে এ ঘাটতি মেটানো হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনায় এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম, বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট।

প্রস্তাবিত এ বাজেটের এ ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ১২ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা, যার মধ্য থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে। ফলে প্রকৃত বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যে ঋণ নেওয়া হবে তার মধ্যে এক লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা নেওয়া হবে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে। এর মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ ৬৮ হাজার ১৯২ কোটি টাকা। আর স্বল্প মেয়াদি ঋণ ৩৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। এছাড়া ব্যাংক বহির্ভূত ঋণ ধরা হচ্ছে ৪০ হাজার ১ কোটি টাকা। যার মধ্যে জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং ৫ হাজার ১ কোটি টাকা অন্যান্য খাত থেকে নেওয়া হবে।

নতুন অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হচ্ছে চার লাখ ১১ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে আবর্তক ব্যয় তিন লাখ ৭৩ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৭৩ হাজার ১৭৫ কোটি এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। মূলধন ব্যয় ধরা হচ্ছে ৩৮ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। খাদ্য খাতে ব্যয় ৫৪০ কোটি টাকা এবং ঋণ ও অগ্রিম ব্যয় ছয় হাজার ৫০১ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।

কোভিড-১৯ অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। বাজেটে সংগত কারণেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাতকে।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে