ডেস্ক রিপোর্টঃ  চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর মল্লিক পাড়ায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর গোপনে বাল্যবিয়ে দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকতার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে চারজনের জেল-জরিমানা করেছে। বরের ১ বছর, বরের পিতাকে ৬ মাস এবং হাউলি ইউপি সদস্যকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও কনের পিতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন এই আদালত পরিচালনা করেন।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর নতুন পাড়া গ্রামের লিয়াকত শেখের ছেলে মাসুদ রানা (২৩) এর সাথে চার মাস আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের মল্লিক পাড়ার ইব্রাহিমের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ইভানা (১২) সাথে। শুক্রবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বউ তোলার জন্য মেয়ের বাবা ইব্রাহিমের বাড়িতে রাতে অনুষ্ঠান শুরু করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট এস এম মুনিম লিংকন গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পেরে রাতেই কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভুয়া কাজীর দায়িত্ব পালনকারী জয়রামপুর মালিতা পাড়ার মোয়াজ্জেমের ছেলে হাউলী ইউনিয়নের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম টিক্কাকে অংক খাতায় বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৯ ধারায় ৬ মাসের ও বরের পিতা লিয়াকত শেখকে ৬ মাস এবং বর মাসুদ রানাকে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়াও কনের পিতা ইব্রাহিমকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে সকলকে দামুড়হুদা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়। আজ শনিবার তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

K/K/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে