hasina

ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগকে তৃতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী করতে দলীয় নেতাকর্মীদের সেই লক্ষ্যে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। জনগণের কাছে যেতে হবে। তৃতীয় দফা নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে জনগণের দোরগোড়ায় যেতে হবে। উন্নয়নের কথা বলতে হবে। ব্যাপক প্রচার করতে হবে। জনগণকে বোঝাতে হবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে।’
শেখ হাসিনা রোববার সকালে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে কাউন্সিল অধিবেশনের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। এখানে বসে থাকলে হবে না। কাজ করতে হবে। মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হবে। গত সাত বছরে আওয়ামী লীগ যে সব কাজ করেছে, তার সুফল জনগণ পাবে আবারও ক্ষমতায় এলে। বিএনপির লুটেরারা ক্ষমতায় এলে সেটা হবে না।
তিনি নেতাকর্মীদের এলাকায় গিয়ে এখন থেকেই আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, জনগণের কাছে যেতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের সত্যিকারের আর্থ-সামিজক উন্নয়ন হয়,তা জনগনকে বলতে হবে।
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে দলের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনের কাজ শুরু করেন শেখ হাসিনা।
কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর কাউন্সিলের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের জন্য দলের নতুন নেতৃত্ব ঠিক করবেন।
বিগত সময়ে সরকারে থাকা বিএনপির কর্মকান্ডের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যারা মানি লন্ডারিং করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়, তারা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে।
কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব আনার আহ্বান জনিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অবসরে যাওয়ার সুযোগ পেলে আমি খুশি হব। আমি চাই, আমি বেঁচে থাকতে থাকতে নেতা নির্বাচন করে দলকে শক্তিশালী করে যাব। আমার বয়স সত্তর হয়ে গেছে। আর কতো, নতুন নেতৃত্ব আনতে হবে।
এ সময়ে সারা দেশে থেকে আসা কাউন্সিলররা সমস্বরে ‘না’, ‘না’ বলে তার এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেন এবং শেখ হাসিনাকেই মূল নেতৃত্বে থাকতে হবে বলে দাবী জানান। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পক্ষেও ‘জয়’, ‘জয়’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমার পরিবার। আওয়ামী লীগ আমার আপনজন। আমার সন্তানদের এতো সময় দেই নাই আওয়ামী লীগকে যত সময় দিয়েছি। তিনি দলের কমিটিতে সৎ-ন্যায়-নিষ্ঠাবান নতুন নেতারা আসুস তাও উল্লেখ করেন।
আওয়ামী লীগের আজকের শক্তিশালী অবস্থানের কথা তুলে ধরে শেখ হসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ আজকের যে অবস্থানে এসেছে, তাতে কেউ আওয়ামী লীগকে অবহেলা করতে পারবে না। শনিবার বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অতিথিরা, যারা সম্মেলনে এসেছেন, তারা বক্তব্য দিয়েছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের প্রশংসা করে গেছেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে গেছেন। তিনি বলেন,জিয়াউর রহমানের সময় জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ ছিলো। সে সময় শুধু আওয়ামী লীগই জয় বাংলা স্লোগান দিতো। আজকে সেই স্লোগান আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে