ডেস্ক রিপোর্ট : ৫ হাজার ২৮৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ১শ’ ফুট চওড়া খাল খনন প্রকল্প আজ উদ্বোধন করা হয়েছে।রাজউক চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান আজ বালু নদীর কাছে প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। এ সময় রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) রায়হানুল ফেরদৌস, রাজউকের প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. হোসেন, সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল নিজাম উদ্দীন আহমদ, প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর নূর মো. সিদ্দিক সেলিমসহ ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মাধ্যমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আগামী বছরের আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন করবে।রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক নুরুল ইসলাম আজ বাসস’কে জানান, ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে ৯০.১৫৪৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৩৮৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা। ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক জানান, এই প্রকল্পের অধীনে ১৩.৬৪৩ কিলোমিটার খাল, ১৩ কিলোমিটার সার্ভিস রোড, ৩৯ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ৪টি ইউ-লুপ, খালের উপর ১৩টি আর্চ ব্রীজ, ৪টি এক্সপ্রেসওয়ে ফুট ওভার ব্রীজ, ২৬ হাজার লেনিয়া এসএস পাইপসহ ফেন্সিং, ১টি পাম্প হাউস, ২ হাজার ২৭০টি স্ট্রিট লাইট, ১২টি ওয়াটার বাস স্টপ, ৪৭০৯.৮৩ লেনিয়া মিটার স্ট্রম সয়ার লাইন, বোয়ালিয়া খালের উভয় পার্শ্বে ওয়াকওয়েসহ খাল খনন ও বাধ নির্মাণ, এবং ১৩ কিলোমিটার ঘাস ও গাছ লাগানোর মাধ্যমে প্রকল্প এলাকা দৃষ্টিনন্দন করা হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিকুঞ্জ, বারিধারা, জোয়ারসাহারা, ডিওএইচএস, ঢাকা সেনানিবাস, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, কালাচাঁদপুরসহ সংলগ্ন কুড়িল ও কুড়াতলী এলাকায় বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকালে জনগণের প্রচন্ড দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তিনি বলেন, জনগণের দুর্ভোগ নিরসনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ড্যাপ এ প্রদর্শিত ওয়াটা রিটেনশন বডি স্থানে পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে (কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত) ‘১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কুড়িল ফ্লাইওভারের চারপার্শ্বের জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এছাড়াও কাঞ্চন ব্রীজ থেকে কুড়িল পর্যন্ত উচ্চ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের সংমিশ্রনে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে এবং খালের উভয়পার্শ্বে কার্যকরী জল পরিবহন ব্যবস্থা ও খালের সাথে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভূমি উন্নয়নসহ সৌন্দর্য বর্ধন হবে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে