শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুইয়া, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলা উলানিয়া বন্দর ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিলেন গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হেলাল উদ্দিন ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ বেড়েই চলছে!

সংবাদদাতা,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুইয়া, ও শ্রী সুমন মালী, গলাচিপা উপজেলা ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়মিত আয়োজন করেছে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হেলাল উদ্দিন স্যার। দিন যতই যাচ্ছে জেলা ও উপজেলার ততোই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। কিন্তুু ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হেলাল উদ্দিন স্যার, এই উপজেলায় সংক্রমণ ঠেকাতে প্রচারণা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখনও লক্ষ্য করা যায়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সতর্কতামূলক প্রচারণার পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না ডেঙ্গু প্রতিরোধে। উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় রয়েছে নানা জটিলতা। সারা দেশের মতো গলাচিপা উপজেলা এডিস মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়েছে। বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ জ্বরের লক্ষণ সবার ক্ষেত্রে সমান না হওয়ায় সতর্কতাবশত চিকিৎসকরা রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ কারণেও ডেঙ্গু পরীক্ষার চাপ বাড়লেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় দুই মাস ধরে কিট না থাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে বেসরকারি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে খবর নিয়ে জানা যায় প্রায় ৫ শত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে পরীক্ষা করে। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ থাকায় রোগীরা ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটছেন। আর সেই সুযোগে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের পরীক্ষা করিয়ে অধিক টাকা নিচ্ছেন তারা। উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন,পৌর কর্তৃপক্ষ, ইউনিয়ন পরিষদগুলোর পক্ষ থেকে কোনও ধরনের প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি এখনো। মশক নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রথম শ্রেণীর পৌর শহরসহ গ্রাম সবখানেই ঝোপ আছে। এসব স্থান মশার প্রজননকেন্দ্র হিসেবে ধরা যায়।
পৌর এলাকার বাসিন্দারা পৌর কর্তৃপক্ষকে বছরের পর বছর লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুফল পায়নি। পৌর শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকার্যকর। সব ড্রেন গুলোই ময়লার স্তুপে ভরে গিয়ে জলাবদ্ধতার দেখা দিয়েছে। অসচেতন পৌরবাসী নিত্যদিনের ব্যবহারের পরিত্যক্তম ময়লা আবর্জনা ওই ড্রেন গুলোতে ফেলেই ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে।উপজেলা পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৩৩ বছরেও পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা ফালানোর স্থান এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেনি। আবাসিক এলাকার সড়কের পাশে পৌরসভার ময়লা ফেলে পাহাড় সমান করে রেখেছে। আর এসব ময়লা আবর্জনা পচে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণুর ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি এখন এডিস মশার বংশবিস্তার করছে পৌর কর্তৃপক্ষের ময়লার ভাগাড় থেকেই। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিগত বছরগুলোতেও মশা নিধনে মাঠে নামেনি।
এ বিষয়ে পৌর উপজেলা মেয়র বলেন, খুব শীঘ্রই মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু হোক আর হেমোরেজিক হোক, এই সময় জ্বর হলেই পরীক্ষা করিয়ে ওষুধ নেওয়া উচিত। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আবারও ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই জ্বর হলেই সতর্ক থাকতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: অধিকারী বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষা কিট না থাকার বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে