আসাদুজ্জামান পাভেল, ডিমলা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বিলম্বিত প্রসব রোধ করি, ফিস্টুলা মুক্ত নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করি, ফিস্টুলা রোগী ভাল হলে, ঘৃনা ভয় যাবে চলে” এই প্রতিপাদ্যে নীলফামারীর ডিমলায় মহিলাজনিত ফিস্টুলা বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১-অক্টোবর) সকালে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দের অংশগ্রহণে ল্যাম্ব-এসএস-এফজিএফ প্রজেক্টের বাস্তবায়নে ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রাশেদুজ্জামান। ডাঃ রাশেদুজ্জামান মহিলাজনিত ফিস্টুলা রোগ হওয়ার কারণ ও প্রতিরোধের উপায় সম্পৃক্ত বক্তব্যে বলেন, ফিস্টুলা হলে ভয়ের কারণ নেই, উপযুক্ত পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির ব্যবহার ফিস্টুলা প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। এছাড়াও ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে না দেওয়া ও ২০ বছরের আগে বাচ্চা না নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত প্রসব রোধ, দক্ষ চিকিৎসা সেবাদানকারীর সহায়তায় ডেলিভারী করতে এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধি করতে অনুরোধ করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সামান্তা আক্তার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মোঃ হায়দার আলী, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান, দিনাজপুর ল্যাম্ব হাসপাতালের টেকনিক্যাল অফিসার মোঃ ইছারব হোসেন, প্রোগ্রাম এ্যাসিসটেন্ট মোঃ তোজাম্মেল প্রমুখ।

সভায় অন্যান্য বক্তারাও ফিস্টুলা প্রতিরোধে বিলম্বিত ও বাধাগ্রস্ত প্রসব রোধ, ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েকে বিয়ে না দেওয়া ও ২০ বছরের আগে বাচ্চা না নেওয়া, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি করানো, নিয়মিত গর্ভকালীন চেকআপ, সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে বিষদ আলোচনা করেন।

এ বিষয়ে ল্যাম্ব হাসপাতালের টেকনিক্যাল অফিসার মোঃ ইছারব হোসেন জানান, আগামী ২৯ নভেম্বর ডিমলা উপজেলায় ফিস্টুলা রোগ শনাক্তকরণের লক্ষ্যে স্ক্রিনিং কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে বিনামূল্যে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন।

তিনি আরও জানান ২০০৬ সাল থেকে ল্যাম্ব হাসপাতাল ফিস্টুলা বিষয়ে কাজ করছেন। কার্যক্রমটির দাতা সংস্থা হিসেবে সহযোগিতা করছে উইমেনস হোপ ইন্টারন্যাশনাল (ডব্লিউএইচআই)। বিবাহিত নারীদের বাচ্চা ডেলিভারির পর বা তলপেট অথবা জরায়ুতে কোনো অপারেশনের পর হতে মায়েদের মাসিকের রাস্তা দিয়ে অনবরত প্রসাব বা পায়খানা অথবা উভয়েই ঝড়তে থাকা সম্পর্কিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটি বিনামূল্যে স্ক্রিনিং কার্যক্রমের মাধ্যমে শনাক্ত শেষে সুচিকিৎসা প্রদান করছে ল্যাম্ব। জরুরি হলে অপারেশনের সুযোগ রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে