এমবিবিএস ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ২য় স্থান অর্জন করেছেন নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী তাজওয়ার হাসনাত ত্বোহা। তিনি ঢাকার মুগদা আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। ঢাকা মেডিকেলের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিমের তত্ত্বাবধায়নে বাসায় পড়ে এক লাখ চার হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাইকে পেছনে ফেলে ২য় হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তাজওয়ার হাসনাত ত্বোহা।

এক ঘণ্টা সময়ের ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন৯১,৭৫নম্বর। তাজওয়ার হাসনাত ত্বোহার রোল নম্বর ২৬০৪৪৯৩। বাবা মো. তোফায়েল আহমেদ, মাতা শাসছুন্নাহার বেগম । বাবা-মা দুজনেই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা। একমাত্র ছেলে তাজওয়ার হাসনাত ত্বোহা শায়েস্তাগঞ্জের ইসলামী একাডেমী এন্ড হাইস্কুল থেকে এস এস সি এবং নটরডেম কলেজ তথেকে এইচ এস সি তে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া ত্বোহা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আরও বেশি সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।

ভালো ফলের বিষয়ে তাজওয়ার হাসনাত ত্বোহা বলেন, আমি দীর্ঘ দুই বছর যাবৎ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফাহিম ভাইয়ের তত্ত্বাবধায়নে বাসায় পড়া -লেখা করেছি। বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করি কিন্তু কোথায়ও ক্লাশ করিনি। আমার পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। নিজে ভালো ফলাফলের বিষয়ে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু এতো ভালো রেজাল্ট হবে, সেটা কল্পনাতেও ছিল না। তবে ফাহিম ভাই আমাকে নিয়ে বেশ আশাবাধী ছিল, তিনি বরাবরেই বলতেন আমি তিনের মধ্যে থাকবো। দুপুরের পর ফাহিম ভাই প্রথম ফোন করে আমাকে রেজাল্ট জানান। তাদের কাছ থেকে ২য় হওয়ার বিষয়টি শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। পরে অনলাইনে নিজের রেজাল্ট দেখি।

পড়াশোনার বিষয়ে তাজওয়ার হাসনাত ত্বোহা বলেন, আমি প্রতিদিন ৬-৭ ঘণ্টা পড়ালেখা করতাম। পাঠ্যবই বাদেও প্রচুর বই পড়ি। আমার পড়ার সময় মা টেবিলের পাশে বসে থাকতেন। কোনো কোনো দিন টেবিলেই মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়তেন মা।

এমবিবিএস পাসের পর উচ্চতর শিক্ষার বিষয়ে তাজওয়ার হাসনাত ত্বোহা বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানে আমার নিউরোসায়েন্স নিয়ে পড়ার আগ্রহ আছে।

এবারে ১০৪টি মেডিকেল কলেজের ১১ হাজার ৬৭৫টি আসনের জন্য এক লাখ চার হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৬ হাজার ২৯৫টি।

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। মাইগ্রেশনের জন্য তিনবার সময় পাবেন শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য সব কলেজকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা সব কলেজে চয়েজ একবারে দিতে পারবেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেও একই নিয়ম বহাল।

এছাড়া সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ১০ নম্বর কাটা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবে।

তবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা থেকে বাদ পড়েছে ছয়টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। এদের মধ্যে চারটি মেডিকেল কলেজ কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারবে না, আর বাকি দুটির নিবন্ধনই বাতিল করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে