এম ডি বাবুল: র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলশ্রুতিতে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র‌্যাব-১৫ কর্তৃক দায়িত্বাধীন এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়তই মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পূর্ব মহেশখালীপাড়ায় কতিপয় মাদক কারবারী বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়/অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে তার হেফাজত হতে সর্বমোট ৪১,৬০০ (একচল্লিশ হাজার ছয়শত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় হোসেন আলী পুতিয়া (৩৫), পিতা-মৃত সোনা আলী, মাতা-বানু, সাং-পূর্ব মহেশখালীপাড়া, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন পন্থায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে এবং প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় এলাকাসহ টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রয় করে থাকে। অদ্য উপরোল্লিখিত ইয়াবাসহ র‌্যাবের আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।

উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ ধৃত মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে