magura college

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৬ই জুলাই ১৬) মোঃ কওছার হামিদ:মাগুড়া,কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী):- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া কলেজটি দীর্ঘ ১৪বছর ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে মাগুড়া একটি জনবহুল এলাকা এবং শিক্ষিত লোকের বসবাস তাই এলাকার ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য বিভিন্ন দিক চিন্তা করে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও সাবেক সাংসদ মরহুম ড. মুহাম্মদ আসাদুর রহমান ২০০০ইং সালে মাগুড়া কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি এমপিওভূক্ত করার জন্য তদ্বির করার পূর্বেই আকস্মিক ভাবে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।  কলেজটি ২০০২ইং সালে প্রাথমিক অনুমতি পান এবং ২০০৫ইং সালে একাডেমীক স্বীকৃতি লাভ করেন। এর পর ২০০৪ইং সালে উক্ত কলেজ থেকে এইচ.এসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ছাত্র-ছাত্রীরা তখন থেকে অদ্যবধি পাশের হার প্রায় সর্বোচ্চ। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ফলফলের দিক থেকে উপজেলার অন্যান্য কলেজ গুলোর চেয়ে ভালো। আজ প্রায় ১৪বছর অতিবাহিত হতে চলেছে কলেজটি এমপিওভুক্ত কিংবা জাতীয় করনের কোন উদ্যোগ নেই। বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি সমগ্র বাংলাদেশে থানা ভিক্তিক একটি করে কলেজ জাতীয়করনের তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে বেশ কিছু যোগ্য নন-এমপিওভূক্ত কলেজ সরাসরি জাতীয়করনের তালিকায় চলে আসছে। ফলে সূধী মহল মনে করেন সরকারের এটি একটি প্রসংশনীয় দুরদর্শী সিদ্ধান্ত। কারন এমপিওভূক্ত কলেজ গুলোর শিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ যেহেতু সরকারী সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে একেবারে সরকারী সুবিধা বঞ্চিত নন-এমপিওভূক্ত কলেজকে সরকারী করলে এতে সরকারের শিক্ষা বিস্তারে সর্বাধিক লক্ষ পূরন হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন। কলেজ জাতীয়করণের এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া কলেজটি ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে এবং ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্টের অর্থায়নে নির্মানধীন চারতলা অবকাঠামো বিশিষ্ট নন-এমপিওভূক্ত নারী শিক্ষা বান্ধব বিশেষায়িত মাগুড়া কলেজটি যোগ্যতার মাপকাঠিতে ও সহানুভূতির দৃষ্টিতে বিবেচনা করে জাতীয়করন করার সরকারের উচ্চতর মহলের এবং স্থানীয় প্রসাশনের সমর্থনে একটি সুবিবেচনা প্রসুত দৃষ্টান্তমুলক সিদ্ধান্ত হবে বলে সূধীজন মনে করেন। কিশোরগঞ্জ উপজেলার উদ্দেলিত জনতা  মাগুড়া কলেজ জাতীয়করণ প্রসঙ্গে সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে। গত সংসদ নির্বাচনের পর পরেই মাগুড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নীলফামারী-৪ সৈয়দপুর- কিশোরগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী তার দেওয়া এক ভাষনে বলেছিলেন তাঁর নির্বাচনী এলাকায় যদি কোন কলেজকে এমপিও ভূক্ত করা হয় সর্ব প্রথম মাগুড়া কলেজকে করা হবে। নীলফামারী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অবঃ) এ.এ মারুফ সাকলান কলেজটি পরিদর্শনে এসে কলেজের অবকাঠামো ও সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে বলেছিলেন যে, এত সুন্দর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনো এমপিওভূক্ত হয়নি এটা খুবেই আশ্চার্যজনক বিষয়। এদিকে মাগুড়া কলেজের গভার্নিং বডির সভাপতি বর্তমান সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হোসাইন মুহাম্মাদ এরশাদের ছোটবোন মেরিনা রহমান এমপি (কিশোরগঞ্জ-সৈয়দপুর)নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় মাগুড়াবাসী আশাবাদী অবশ্যই এবার মাগুড়াবাসীর প্রানের দাবী পূরন হবেই। দীর্ঘ ১৪বছর ধরে থাকা নন-এমপিওভূক্ত মাগুড়া কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাহ্বুবার রহমান শাহ এর সাথে সংবাদদাতার সরেজমিনে গিয়ে কথা হলে তিনি জানান, শিক্ষক কর্মচারীরা নিজ খরচে প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন এবং যতসমান্য পরীক্ষার ফি দিয়ে অফিসিয়ালী কাজের ব্যয় নির্বাহের পর উদ্বৃত্ত থাকলে শিক্ষকদেরকে ক্লাস প্রতি ২৫ টাকা হারে দেওয়া হয়। সুদীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই কলেজটি এমপিওভূক্ত বা জাতীয়করন করা আশু দরকার। সুদীর্ঘ ১৪ বছর ধরে নন-এমপিওভূক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপনের অবসানের জন্য কলেজটি জাতীয়করনই উপযুক্ত সমাধান। কলেজ জাতীয়করনের ব্যাপারে মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান মাগুড়া কলেজটি এমপিওভূক্ত হলে ইউনিয়নে অবহেলিত জনগোষ্টি শিক্ষার দিক থেকে একধাপ এগিয়ে যাবে, পাশাপাশি ইউনিয়নে উচ্চশিক্ষার হার বৃদ্ধি পাবে। কলেজটি এমপিওভূক্ত করার ব্যাপারে উদ্ধর্তন মহলের প্রতি জোর সুপারিশ করছি। তাই মাগুড়া কলেজটিকে এমপিওভূক্ত কিংবা জাতীয়করনের লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষন করছে সচেতন মহল।

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে