গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তারপর থেকেই সেখানে করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে। চীনে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।

তবে গত কয়েক মাসে করোনা বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে চীন। মূলত চীন থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হলেও এখন চীনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম।

অন্যদিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা। এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে এবং সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ইতালিতে।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৬ এবং মারা গেছে ১৬ হাজার ৬৯১ জন। এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৫ হাজার ৯২৮ জন। তবে ১০ হাজার ১১ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।

ইতালিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৬ এবং মারা গেছে ১৮ হাজার ২৭৯ জন। অপরদিকে, করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৯০৭ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৩৩৬ জন।

গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় চীনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকলেও নতুন করে বিদেশফেরত নাগরিকদের মাধ্যমে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। ফলে দ্বিতীয় দফায় চীনে বিদেশফেরতদের মাধ্যমে আবারও করোনার মহামারি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চীনে নতুন করে আরও ৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৮ জনই বিদেশি নাগরিক। এছাড়া উহানে নতুন করে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েকদিনে নতুন করে উহানে কোনো মৃত্যু না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছিল। কিন্তু নতুন করে সেখানে আবারও প্রাণহানি ঘটল।

চলতি সপ্তাহেই উহান থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে জনজীবনে স্বস্তি মিলেছে। লোকজন উহান ছাড়তে পারছে।

অনেকেই ট্রেনে করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। প্রায় দু’মাস ধরে সেখানে আটকা পড়েছিল হাজার হাজার মানুষ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে