নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী-রৌমারী রুটে চালু হচ্ছে ফেরি চলাচল। এর মধ্য দিয়ে দারিদ‌্যপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামে উন্নয়নের একটি নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। এরই মধ্যে ‘কুঞ্জলতা’ নামের একটি ফেরি রমনা ঘাটে পৌঁছেছে।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আরিচাঘাট থেকে ফেরিটি চিলমারী নদীবন্দরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে সংযোগ সড়ক, পন্টুনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। ফেরি আসার খবরে খুশি এ অঞ্চলের মানুষ।

২০ সেপ্টেম্বর থেকে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক মাহফুজ আলম সজল।

জানা গেছে, রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলাবাসীর দুঃখ ব্রহ্মপুত্র নদ। জনপদটির লাখো মানুষকে জেলা শহরে যাতায়াতে নৌকার ওপর ভরসা করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি বেড়ে যায় নৌপথে।

অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে চরাঞ্চলে আটকে যায় নৌকা। ফলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না যাত্রীদের। এছাড়া বাড়তি ভাড়া আর শিডিউল বিপর্যয় তো আছেই। তবে ফেরি চলাচল শুরু হলে শেষ হবে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি। একইসঙ্গে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে।

তবে স্থানীয়দের দাবি, বর্ষা মৌসুমে ফেরি চলাচল করতে পারলেও গ্রীষ্ম মৌসুমে নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা আছে।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মাহফুজ আলম সজল বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ফেরিটি উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পর আরও একটি ফেরি রৌমারী ঘাটে যুক্ত করা হবে। নিয়মিত ফেরি দুটি ওই রুটে চলাচল করবে। এছাড়া নাব্য সংকট দূর করতে চিলমারী ও রৌমারী ঘাটে দুটি ড্রেজার অবস্থান করবে। ফেরি চলাচলে কোথাও বিঘ্ন ঘটলে ড্রেজার দুটি সার্বক্ষণিক কাজ করবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে