durniti o oniom

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৪ই জুন ২০১৬ইং)  গোলাপগঞ্জ (সিলেট)প্রতিনিধি আজিজ খানঃ গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর মডেল ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শুয়াইবুর রহমানের বিরদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন এলাকাবাসী। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভাদেশ্বর এলাকাবাসী। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. ওলীউর রহমান। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৮৭২ সনে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ ভাদেশ্বর মডেল ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা অধ্যক্ষ শুয়াইবুর রহমানের কারনে আজ ধ্বংসের পথে। এলাকাবাসীর নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘদিন ধরে নেই ম্যানেজিং কমিটি। অধ্যক্ষ শুয়াইবুর রহমান ও তার মদদপুষ্ট প্রভাষক ইউনুছ আহমদের সহযোগিতায় একক আধিপত্যে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হচ্ছে। ২০০৬ সালে অভিজ্ঞতার জাল সার্টিফিকেট ও ভুয়া তথ্য দিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শুয়াইবুর রহমান মূলত সম্পূর্ণ অযোগ্য একজন লোক। অতীতে তিনি যে সব মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই অর্থ আত্মসাতসহ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরদ্ধে। জীবনের কোনো পরীক্ষায় প্রথম শ্রেনী না থাকা সত্ত্বেও ভিজিটিং কার্ডসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে প্রথম শ্রেনী উল্লেখ করে প্রতারনা করে আসছেন তিনি। অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ধরনের যোগ্যতা থাকা দরকার তা না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে তিনি নিয়োগ লাভ করেছেন। তার যোগদানকালীন সময়ে মাদ্রাসার হিসাবে প্রায় ৩৯ হাজার টাকা থাকলেও তিনি উল্লেখ করেছেন মাত্র ৩০৯ টাকা। মাদরাসার হিসাব পত্র কখনো তিনি ম্যানেজিং কমিটির নিকট উপস্থাপন করেন নাই। বার বার অডিট কমিটি গঠন করেও তার কাছ থেকে কেউ হিসাব নিতে পারেননি। ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের বেতন ও পরীক্ষার ফি আদায় করা হলেও তাদেরকে কোনো রশিদ দেয়া হয় না। বেতনের বড় একটি অংশ তিনি আত্মসাত করে নেন। মাদ্রাসার জমা বইতে ছাত্র বেতনের কোনো হিসাব লিপিবদ্ধ নেই। ক্যাশ বইতে আয়-ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ হয় না। ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন খাত থেকে যে আয় হয় তার পুরোটাই অধ্যক্ষ আত্মসাত করে নেন। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, অধ্যক্ষ শুয়াইবুর রহমান, মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন। ২০১৩ সালে আরবি প্রভাষক ইউনুছ আহমদকে গোপনে বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। অথচ এই ইউনুছ আহমদ আরেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি না নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পান। এভাবে অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে শুয়াইবুর রহমানের বিরদ্ধে। ভাদেশ্বর এলাকাবাসী অধ্যক্ষ শুয়াইবুর রহমানের বিরদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন, সিলেটের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বিভিন্ন সময় ও তারিখে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রতিটি অভিযোগ বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ শুয়াইবুর রহমানের দ্রত অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেম্বার আলী আহমদ, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, শামীম আহমদ, আব্দুর রহিম, আলী আহমদ চৌধুরী, আব্দুল হান্নান, আব্দুল মালিক, শহির উদ্দিন, আবুল কাশেম, শাহীন আহমদ, আব্দুল খালিক, আব্দুল কাদির, হারন মিয়া সহ এলাকার প্রায় অর্ধশত লোকজন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে