নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে বিবৃতিদান টিআইবির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ৷

তিনি বলেছেন, সংসদীয় কমিটিতে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধন হবে। এটা টিআইবির কোনো বিষয় না।এ সত্ত্বেও বিবৃতি দিয়ে তারা বিষয়টিকে রাজনীতি করণের চেষ্টা করছে, যা এ প্রক্রিয়ায় সহায়ক তো নয়ই, বরং অন্তরায়।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গত ২৮ মার্চ সংসদে উপস্থাপিত ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে টিআইবির বিবৃতি  সম্পর্কে’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য। এটা দুর্নীতির কোনো বিষয় নয়। আর আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে, সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এটি পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা হবে। তাদের সঙ্গে এনিয়ে আমার আলোচনাও হয়েছে। টিআইবি আগ বাড়িয়ে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে,এর মধ্যে দুরভিসন্ধি আছে। নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে কথা বলা টিআইবির একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি তাদের এ বিবৃতি গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধনের ক্ষেত্রে সহায়ক তো নয়ই বরং অন্তরায় হবে।

এসময় সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের  সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ডাকাতের সরকারে পরিণত হয়েছে, টিসিবি কার্ডও দলীয়করণ করেছে’ এবিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে ন্যায্য প্রাপ্যতার ভিত্তিতেই এক কোটি পরিবারকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে, যাতে পাঁচ কোটি মানুষ উপকারভোগী। এখানে আমাদের দলীয় কোনো নেতাকর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। জনপ্রতিনিধি, যারা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিভিন্ন দল থেকেই রয়েছেন তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসলে সব কিছুর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খোঁজাই বিএনপির সমস্যা। ‘আসলে, টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ড দেয়ায় মানুষে মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসায় ও জনগণ সাধুবাদ দেওয়াতে বিএনপিনেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তারা উদভ্রান্তের মতো কথা বলছেন ।

‘মির্জা ফখরুল সাহেব ইদানিং যে ভাষায় কথা বলছেন তা সিনিয়র রাজনীতিকের ভাষা নয় এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগকে ডাকাত বলেছেন, আসলে তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিশ্বডাকাতে পরিণত হয়েছিলেন এবং সেজন্য তাদের হাতে দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ‘

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে