মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের চত্তরের ভিতরে ময়লার স্তুপে মিললো মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ একশটি পেথিডিন ইনজেক্ শন, প্রায় ত্রিশটি কপারটি এবং প্রায় পঞ্চশটি ডায়াজিপাম ঔষধ যে গুলোর মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়েছে কয়েক বছর আগে যেমন পেথিডিন ইনজেক্ শন ২০১৫ সালে, কপারটি, এবং ডায়াজিপাম টেবলেট ২০১৮ সালে মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

অফিস সূত্রে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রেরিত পরিবার পরিকল্পনার সকল প্রকার ঔষধ বুঝে নেয়া বা বিতরণ করার দায়িত্বে থাকেন পরিবার পরিকল্পনা অফিসের অফিস সহকারী রবিউল ইসলাম ও স্টোর কিপার রাশেদুজ্জামান। সকল প্রকার ঔষধ তাদের তত্বাবধানে থাকে। যার চাবি স্টোর কিপার রাশেদুজ্জামানের কাছে থাকে।

অফিস সহকারী রবিউল ইসলামের সাথে মেয়াদ উর্ত্তীণ ঔষধের সম্পর্কে জানতে চাইলে। তিনি উল্টো সাংবাদিক কে প্রশ্ন করে বসেন, আপনি কি এই ঔষধ গুলো কারো কাছ থেকে পেয়েছেন। তার প্রশ্ন মতে বুঝা যাচ্ছে তিনি যানতেন যে পেথিডিন গুলো কার কাছে ছিল, না হলে এমন প্রশ্ন করার কারণ কি।

স্টোর কিপার রাশেদুজ্জামান বলেন এগুলো বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। তিনি লক্ষিরানী কুন্ডু এফ ডাব্লউ ভির সাথে কথা বল বলেন। কিন্তু রাশেদুজ্জামানকে মেডিকেল ক্যাম্পাসে পাওয়ার কথা বললে স্টোর কিপার কিছু না বলে সেখান থেকে ছটকে পড়েন। তার আর দেখা পাওয়া যায় নি।

সদর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা এফ ডাব্লউ লক্ষিরানী কুন্ডুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি মাত্র পাঁচ মাস আগে সদর ইউপির অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি, কারণ সদর ওয়ার্ডের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি অসুস্থ্য তাই। আমি বাহাগিলি ইউনিয়নের দায়িত্বে আছি। পাশাপাশি এখানে সময় দিচ্ছি আগের এসব ঔষধের ব্যাপারে আমি কিছু যানিনা।

এই বিষয়টি নিয়ে পরিবার পরিকল্পনার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জলঢাকা উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ হাসিনের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টিকে কিছুই মনে করছেন না। তিনি উল্টো প্রশ্ন করে, নির্দিষ্ট কাউকে ফেলতে অথবা রেখে যেতে দেখেছেন কি, উত্তরে না বললে, তিনিও আর কিছু বলতে পারেননি। তিনি উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা মোঃ আবু শফি মাহামুদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্ণ আলাদা, তাদের সাথে আমাদের সাথে কোন সংযুক্ত নাই। ডাঃ মোঃ আবু শফি মাহমুদের কাছে পেথিডিনের কাজ কি তা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো এখন আর পাওয়া যায় না। তবে তীব্র ব্যাথা, অচেতন, হৃদরোখ জনিত কারণে ব্যাথা নিঃরশনের কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে কেউ কেউ এটাকে নেশা হিসাবে গ্রহণ করে থাকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে