কিশোরগঞ্জ থেকে,মোঃ কাওছার হামিদ:নীলফামারীর কিশেরাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসান ও সহ-শিক্ষা অফিসার নিলুফা আক্তারের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদোন্নতির যোগ্যতা না থাকলেও তিনজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির মুল তালিকা তৈরী করেন।তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এস.এস.সি।
আবুল হাসেম ,সহকারী শিক্ষক, ভেড়ভেড়ী মাঝাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহমুদা ইয়াসমিন সহকারী শিক্ষক ,কেসবা ইউনাইটেড মডেল- সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সামসুন্নাহার বেগম, সহকারী শিক্ষক, পুটিমারী ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই তিন শিক্ষকগণ কর্তপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এইচ.এস.সি পাশ দেখিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও প্রধান শিক্ষককের শুন্য পদের তালিকায় পুরাতন ও সদ্য জাতীয়করণকৃত সরকারী বিদ্যালয়ের তালিকা নিয়মমাফিক প্রণয়ন না করে এবং বিদ্যালয়ের ক্রমমান না মেনে নিজের ইচ্ছামত ও তার পছন্দের কর্মরত শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের নাম সর্বশেষ তালিকায় রাখে। যাতে পরবর্তিতে ঐ সমস্ত বিদ্যালয়ে অন্যকোন প্রধান শিক্ষক পোষ্টিং না হয় ।
কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওই বিদ্যালয় গুলো ছাড়া আরো কয়েটি বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যাতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারে । তার মধ্যে উল্লেখ্য মোঃ রউফুল ইসলাম, সফিউল ইসলাম, আকতারুজ্জামান দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসলে ও তাদের বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ দেখােেনা হয় না বা পূণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয় না।
এ ব্যাপারে সিঙ্গেরগাড়ী পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকতারুজ্জামানের সাথে মুটোফোনে কথা বলে জানা যায়, তার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ছিল তিনি অবসরে যাওয়ার পর আর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়নি তখন থেকে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আর এ ভাবে তিনি তার পছন্দের দালাল বা চামচা শিক্ষকদের অবৈধভাবে সুযোগ দিয়ে নিজের অবস্থান পোক্ত করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত। এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার নিলুফা আক্তারের সাথে মুটো ফোনে কল দিয়ে সংবাদিক পরিচয়ে উল্লেখিত বিষয়ে জানেেত চাওয়ার সাথে সাথে ফোন কেটে দেন। তদন্ত করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে।