মাফি মহিউদ্দিন,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকেঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকতাদের (বিএস) আবাসিক ভবন হিসাবে ব্যবহৃত বিএস কোয়ার্টার গুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। র্দীঘদিন থেকে এসব ভবনগুলো জরাজীর্ণ ও পরিত্যাক্ত অবস্থায় থাকায় ভবনগুলোর ইট চুরি হয়ে যাচ্ছে। ফলে একদিকে সরকারি সম্পদ নষ্ঠ অন্যদিকে হাতের নাগাল থেকে কৃষি সেবা বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৯ টি ইউনিয়নে ৯ টি বিএস কোয়ার্টার আছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, বড়ভিটা ও নিতাই তিনটি বিএস কোয়ার্টার ব্যবহার উপযোগী হলেও বাকি ৬টি ইউনিয়নের বিএস কোয়ার্টারগুলো একেবারে ব্যবহারের অনুপযোযোগী হওয়ায় ও দিনের পর দিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় থাকায় এলাকাবাসী রাতের আধাঁরে কোয়ার্টারগুলোর ইট, দরজা জানাল খুলে নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন সরকারী সম্পদ নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে ওইসব কোয়ার্টারে বিএসরা না থাকার কারণে কৃষকরা হাতের কাছে কৃষি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাহাগিলি ইউনিয়নের পাশে অবস্থিত বিএস কোয়াটারটি ব্যবহারের অনুপোযোগী। কোয়ার্টারটির দরজা জানালা ও ইটগুলো কে বা কাহারা রাতের আঁধারে খুলে নিয়ে গেছে এছাড়াও কোয়ার্টারটি দীর্ঘদিন থেকে পড়ে থাকায় মরিচা ধরে নষ্ঠ হতে বসেছে। এছাড়াও চাঁদখানা ইউনিয়নের কেল্লাবাড়িতে অবস্থিত বিএস কোয়ার্টার, মাগুড়া ইউনিয়নের মাগুড়া বিএস কোয়ার্টার, পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর বিএস কোয়ার্টার, রণচন্ডি ইউনিয়ন বিএস কোয়ার্টার, গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন বিএস কোয়ার্টার গুলো একবারে ব্যবহারের অনুপোযোগী ।
রণচন্ডি ইউনিয়নের কৃষক সহিদার রহমান বলেন, আগে বিএস কোয়ার্টারটি চালু থাকায় আমরা খুব সহজে কৃষি বিষয়ে যে কোন পরামর্শ খুব তাড়াতাড়ি নিতে পারতাম। কিন্তু বর্তমানে কোয়ার্টারটি ব্যবহার অনুপোযোগী হওয়ায় আমাদের কৃষি বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য ১৫ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে যে কোন পরামর্শ নিতে হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আমি যতুটুকু যানি ১৯৬০-৬১ সালের দিকে সরকার কৃষকদের বিভিন্ন কৃষি বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করার নিমিত্তে বিএস কোয়ার্টারগুলো নির্মাণ করেছিল। কিন্তু র্দীঘদিন থেকে সেগুলো সংস্কার না করার কারণে কোযার্টার গুলো ব্যবহারের অনুপোযোগী হওয়ায় সেখানে বিএসরা থাকেনা। তবে বড়ভিটা ও কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে বিএস থাকে এবং নিতাই ইউনিয়নে বিএস কোয়ার্টারে বিএস বসে কৃষকদের পরামর্শ দেয়। তিনি আরো বলেন, আমরা কোয়ার্টার গুলোর বিষয়ে অনেকবার উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি।
