কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভ্যাপশা গরম ও প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে জনজীবন।

প্রচন্ড তাপদাহে ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে সর্দিজ্বর, ডায়রিয়া ও শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে দিন দিন ব্যাপক হারে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। হাসপাতাল গুলো ঘরে দেখা গেছে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশী।

এই প্রচন্ড তাপদাহে নাজেহাল হয়ে পড়েছে কর্মজীবি মানুষ। তাপদাহ থেকে রেহাই পেতে ডাবের পানি, ওরস্যাইন,জুস পান করে তিষ্ণা নিবারন করছেন।

একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে যাচ্ছেনা। বের হলেও ছাতা কিংবা বিকল্প কিছু মাথার উপরে দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করছেন।

প্রচন্ড রোদ ও ভ্যাপশা গরমে খেটে খাওয়া কর্মজীবি নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মস্থানের উপর প্রভাব ফেলছে। প্রকৃতির এই বৈরী আবহওয়া রেহাই পাচ্ছেনা এই উপজেলার মানুষ।

তবে আবহাওয়া অফিস বলছে এমন পরিস্থিতি আরো দুএক সপ্তাহ থাকবে এবং কোন কোন জায়গায় বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

কিশোরগঞ্জে রোডে চলাচলরত অটো শ্রমিক সাহাবুল হোসেন বলেন প্রচন্ড রোদে অটোবাইক চালাতে পারতেছিনা,মনে হয় আকাশ থেকে আগুন পড়ছে।

দিনে যেমন ভ্যাপশা গরম ঘরের ভিতরেও থাকা যাচ্ছেনা। রাতেও ঠিকমত ঘুম হচ্ছেনা। একদিকে গরমের জালা অপর দিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং তো লেগেই আছে। সামনে এসএসসি পরীক্ষা লোডশেডিংয়ের কারনে পরির্থীরা ঠিকমত পড়াশুনা করতে পারতেছেনা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে