জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জের নিতাই ইউনিয়নের পূর্ব কাছারী পাড়ার ভূমিদস্যু আবুল কাসেম মরণ দেওয়ানী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে একটি পরিবার ৷ প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগী ওই পরিবার বৃহস্পতিবার ১জুন বিকালে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৷

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমদাদুল হক দাবী করেন,তাঁর বাবা হোলাই সরকারের মোট ৯.৭৫ একর জমি ছিল ৷ বাবার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তাঁর মাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করেন ৷ প্রথম স্ত্রীর দু’সন্তান ও দুই মেয়ে ছিল ৷ দ্বিতীয় স্ত্রীর ৩ ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে মৃত্যু বরণ করেন ৷ মৃত্যুর আগে মোট জমির মধ্যে ৪.৫৬ একর জমি এমদাদুল,একরামুল ও সহিদুল ইসলাম তিন ভাইয়ের নামে হেবা দলিল করে দেন ৷

অবশিষ্ট জমি রেখে হোলাই সরকার মৃত্যু বরণ করেন ৷ পরবর্তীতে অবশিষ্ট জমি দুই স্ত্রীর ছেলে মেয়েদের ইউপি চেয়ারম্যান,গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আইনজীবী দ্বারা বন্ঠক নামা করা হয় ৷

এভাবে ভালোই চলছিল কয়েক বছর ৷ কিন্তু প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে আজিজার রহমান ও আতিয়ার রহমান তাদের অংশের কিছু জমি বিক্রি করে মারা যান ৷

অবশিষ্ট জমি তাদের ছেলেরা বিক্রি করেন ৷ যখন তাদের জমি শেষ হয়ে যায়,তখন তাদের মধ্যে শুরু হয় ষড়যন্ত্র ৷ কিভাবে এমদাদুল,একরামুল গংদের জমি দখল করা যায় ৷

তারা সব সময় এই পরিবারটির উপর নির্যাতন শুরু করে দেয় ৷ বিনা কারণে গালিগালাজ মার ডাং করে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে৷ শুরু হয় চরম শক্রতা ৷

এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান, কিশোরগঞ্জ থানার ওসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোআর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একাধিকবার মিমাংসা করলেও প্রতিপক্ষ কখনো মেনে নেয়নি ৷ তারা কাউকে তোয়াক্কা করে না,মানে আইন আদালত ৷

এমদাদুল হক আরো বলেন, তারা নিজে জমির ফসল নষ্ট করে অন্যকে ফাসায় ৷ আমাদের দখলে থাকা পৈতিক সূত্রে পাওয়া ৪.৫৬ একর জমিসহ ক্রয় করা জমিতে গভীর রাতে মৃত আজিজার রহমান ও আতিয়ার রহমানের ছেলে নাতি যথাক্রমে আবুল কাসেম মরণ দেওয়ানীর নেতৃত্বে সফিয়ার রহমান, শফিকুল, রফিকুল ইসলাম, অপিয়ার রহমান, সবুজ, সাবুল,দুদুল, মশিউর রহমান, সোহাগ হোসেন, জুয়েল, সোহেল, স্বাধীন, অলিয়ার, সেবু, মাসুম, টুলুসহ আরো নাম অজানা ২০/২৫ জন ভাড়াটে লোকসহ দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে ৷

তাদের ভয়ে এলাকার লোক মুখ খুলতে সাহস পায় না ৷তারা সংখ্যায় বেশী হওয়ায় তারা এলাকার লোকের সাথে প্রায় ইচ্ছা করে ঝগড়া বিবাদ লাগায় ৷

আমি একবার তাদের দখলের চেষ্টার বাঁধা সৃষ্টি করি তারা আমাকে মেরে দাঁত ভেঙ্গে দেয় ৷ এ নিয়ে আমি মামলা দায়ের করি যা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ৷

এছাড়া জমি সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে ৷ যার মামলা নং-অন্য-১৩১/২০২২ ৷ মামলা করার পরও আমাদের পরিবার তাদের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ৷তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি ৷

এব্যাপারে কথা হয় আবুল কাসেমের সাথে তিনি জানান, আমরা কোন মামলা করিনি ৷ তারাই ৫টি মামলা করেছে ৷ কয়েকটি মামলায় তারা হেরে গেছে ৷ আর আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট ৷ জমি আমাদের তাই আমরা চাষাবাদ করি ৷

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজিব সাহা জানান এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না ৷ অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখব৷

এবিষয়ে কথা হয় সৈয়দপুর সাকেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোআর আলমের সাথে তিনি জানান,আমি বিষয়টি জানি এবং ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম ৷ আমি চেষ্টা করি আমার সাধ্যের মধ্যে হলেই
যে কোন ঘটনা মিমাংসা করার ৷ তাই বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে এর সঠিক সমাধান করা হবে ৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে