জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ইউপি নির্বাচনে দুইটি ইউনিয়নের ছয়টি ভোট কেন্দ্রের ভোটগ্রহন করা হয়েছে। ব্যালট ছিনতাই, কেন্দ্র দখলের চেষ্টা ও প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ওই ছয় ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিত হয়। গত (রবিবার) ২৮ নবেম্বর নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৮টি, জলঢাকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও নীলফামারী পৌরসভার ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। জলঢাকা ও নীলফামারীর ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও সমস্যা হয় শুধু কিশোরীগঞ্জ উপজেলায়। এই উপজেলা স্থগিতকেন্দ্র ছয়টি হলো বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা এইউ সিনিয়র মাদ্রাসা ও বড়ভিটা স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র এবং মাগুড়া ইউনিয়নের পারের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংগেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, খিলালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সিংগেরগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর একটার দিকে বড়ভিটা ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বেনজির আহমেদ ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ফজলার রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতি ঘটে। এঘটনায় বড়ভিটা এইউ সিনিয়র মাদ্রাসা ও বড়ভিটা স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোটগ্রহন স্থগিত হয়।

অপরদিকে মাগুড়া ইউনিয়নে সদস্য পদে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার, ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় পারের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংগেরগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, খিলালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সিংগেরগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহন স্থগিত হয়। এসময় প্রতিন্দ›দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ওই ছয়টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিতের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,’এসব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুকুলে না থাকায় ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে